ঢাকা | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ইং | বঙ্গাব্দ

কারফিউ উপেক্ষা করে রাজপথে নেপালের জেন-জিরা

প্রকাশের তারিখ: সেপ্টেম্বর ৯, ২০২৫ ইং

ছবির ক্যাপশন:
ad728
প্রতিদিনের বাংলার প্রতিচ্ছবি : নেপালে দুর্নীতি ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে তরুণদের বিক্ষোভ দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে।  সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) থেকে শুরু হওয়া সহিংস এ আন্দোলনে অন্তত ১৯ জন নিহত ও শতাধিক আহত হয়েছেন।  এর জেরে কাঠমান্ডুসহ দেশের একাধিক এলাকায় কারফিউ জারি করেছে প্রশাসন।  তবে কারফিউ উপেক্ষা করে মঙ্গলবারও নিউ বানেশ্বরসহ কাঠমান্ডু উপত্যকার বিভিন্ন এলাকায় রাস্তায় নেমেছে তরুণেরা। 

মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে নেপালি সংবাদমাধ্যম কাঠমান্ডু পোস্ট। 

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মঙ্গলবারও কারফিউ উপেক্ষা করে নিউ বানেশ্বরসহ কাঠমান্ডু জেলার বিভিন্ন এলাকায় তরুণদের বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে।  এদিন সকাল থেকে কালাঙ্কি, চাপাগাঁওসহ উপত্যকার বিভিন্ন স্থানে প্রতিবাদ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এর আগে সোমবার কাঠমান্ডুতে পুলিশের অতিরিক্ত বলপ্রয়োগে অন্তত ১৭ জন এবং ইতাহারিতে ২ জন বিক্ষোভকারী নিহত হন। আহত হয়েছেন ৪০০’র বেশি বিক্ষোভকারী, যাদের অনেকের অবস্থা গুরুতর, যার ফলে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

পরদিন কাঠমান্ডু জেলা প্রশাসন অফিস রিং রোডের ভেতরের এলাকায় সকাল সাড়ে ৮টা থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কারফিউ ঘোষণা করেছে। এই কারফিউ বল্কুমারী ব্রিজ, কোটেশ্বর, সিনামঙ্গল, গাউশালা, চাবাহিল, নারায়ণ গোপাল চৌক, গঙাবু, বলাজু, স্বয়ম্ভূ, কালাঙ্কি, বলখু এবং বাগমতী ব্রিজসহ পুরো রিং রোড এলাকার ভেতরে কার্যকর থাকবে।

ললিতপুর জেলা প্রশাসন অফিস মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত কারফিউ জারি করেছে। জেলা প্রশাসক সুমন ঘিমিরে জানান, এই নির্দেশ ললিতপুর মহানগরীর ২, ৪, ৯, ১৮ এবং ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের কিছু অংশে যেমন ভৈসেপাটি, সানেপা এবং চ্যাসাল এলাকায় প্রযোজ্য হবে।

ভক্তপুর জেলা প্রশাসন অফিসও সকাল সাড়ে ৮টা থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কারফিউ ঘোষণা করেছে। জেলা প্রশাসক নামরাজ ঘিমিরে জানান, এই নিষেধাজ্ঞা মাধ্যপুর ঠিমি, সূর্যবিনায়ক, চাঙ্গুনারায়ণ ও ভক্তপুর পৌরসভার এলাকায় কার্যকর থাকবে। 

আদেশ অনুযায়ী নির্দিষ্ট এলাকাগুলোতে সব ধরনের চলাচল, জমায়েত, মিছিল, সভা ও অবস্থান কর্মসূচি নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, স্থানীয় প্রশাসন আইন, ১৯৭১-এর ধারা ৬(৩) অনুযায়ী এই কারফিউ জারি করা হয়েছে।

তবে সরকারের দমন-পীড়ন, কারফিউ-সবকিছু উপেক্ষা করে মঙ্গলবার সকাল থেকেই নতুন করে আন্দোলন শুরু হয়েছে। ফেডারেল পার্লামেন্ট ভবনের সামনে থেকে কয়েকজন বিক্ষোভকারীকে আটক করেছে পুলিশ।

এক বিক্ষোভকারী বলেন, ‘গতকালের ঘটনা সরকারের ব্যর্থতা প্রকাশ করেছে। আমি এখানে এসেছি তরুণদের পাশে দাঁড়াতে।’
কমেন্ট বক্স