বাংলার প্রতিচ্ছবি : চট্টগ্রাম আদালতের বারান্দা থেকে গায়েব হওয়া ১৯১১টি মামলার নথির (কেস ডকেট বা সিডি) খোঁজ মিলেছে ভাঙারির দোকানে। এ ঘটনায় পুলিশ রাসেল নামে এক চা-দোকানিকে আটক করেছে। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে নগরীর কোতোয়ালি থানাধীন পাথরঘাটা এলাকার একটি ভাঙারির দোকানে অভিযান পরিচালনা করে ৯ বস্তা নথি উদ্ধার করা হয়।
বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল করিম।
তিনি বলেন, ‘আদালত থেকে গায়েব হওয়া নথিগুলো উদ্ধারে গত তিন দিন ধরে আমরা কাজ করছিলাম। আদালতে থাকা সিসিটিভির ফুটেজ দেখে রাসেল নামে এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদে ওই নথিগুলো রাসেল চুরি করেছিল বলে স্বীকার করে। আদালত চত্বরেই চা বিক্রি রাসেল। চুরির পরে ভাঙারির দোকানে ১৬ টাকা কেজি দরে নথিগুলো বিক্রি করে দেওয়া হয়।’
ওসি আরও বলেন, ‘আটক ব্যক্তির দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এ পর্যন্ত ৯ বস্তা নথি উদ্ধার করা হয়েছে। এখানে কতটি নথি আছে তা এখনও হিসেব করে দেখিনি। তবে জানতে পেরেছি আরও নথি বাইরে আছে। সেগুলো উদ্ধারে আমরা চেষ্টা করছি।’
১৯১১টি মামলার নথির খোঁজ না পাওয়ায় রবিবার (৫ জানুয়ারি) নগরীর কোতোয়ালি থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) মফিজুল হক ভূঁইয়া।
জিডিতে তিনি উল্লেখ করেন, চট্টগ্রাম মহানগর পিপি কার্যালয়ে ২৮ থেকে ৩০টি আদালতের কেস ডকেট রক্ষিত ছিল। পিপি কার্যালয়ে জায়গা স্বল্পতার কারণে ২০২৩ সালের ২৪ এপ্রিল থেকে পিপি কার্যালয়ের সামনের বারান্দায় প্লাস্টিকের বস্তায় ১৯১১টি মামলার কেস ডকেট পলিথিনে মোড়ানো অবস্থায় রাখা ছিল। আদালতের অবকাশকালীন ছুটির সময় অফিস বন্ধ থাকায় গত ১৩ ডিসেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে নথিগুলো হারিয়ে যায়। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও পাওয়া যায়নি। বিষয়টি থানায় ডায়েরিভুক্ত করে রাখার জন্য আবেদন করা হলো।
নগরের কোতোয়ালি মোড়ে অবস্থিত চট্টগ্রাম আদালত ভবনের তৃতীয় তলায় মহানগর পিপির কার্যালয়। এটির পাশে মহানগর দায়রা জজ আদালতের এজলাস ও খাসকামরা। আশপাশে অন্য বিচারকের এজলাস। দিনভর আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীদের পদচারণায় মুখর থাকে চট্টগ্রাম আদালত ভবন।