বাংলার প্রতিচ্ছবি : নাটোরের বড়াইগ্রামে চাঁদার দাবিতে এক ব্যবসায়ীকে অপহরণ ও গাছের সঙ্গে বেঁধে মারধর করার অভিযোগে বিএনপির দুই নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার ভোরে নিজ নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়। দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
তারা হলেন- বড়াইগ্রাম পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সাত্তার খান (৫৫) এবং একই এলাকার বিএনপির কর্মী কামাল হোসেন (৪০)।
বড়াইগ্রাম থানা সূত্রে জানা যায়, গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে পূর্ববিরোধের জেরে আবদুস সাত্তার খান ও তার সহযোগীরা একই এলাকার হেলাল উদ্দিনের ছেলে শাহ আলমকে মানিকপুর এলাকা থেকে আটক করেন। পরে তার কাছে আট লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। টাকা না পেয়ে তাকে মারধর করে আবদুস সাত্তার খানের বাড়ির সামনের মেহগনি বাগানে নেওয়া হয়। সেখানে গাছের সঙ্গে বেঁধে আবার শাহ আলমকে মারধর করা হয়। ঘটনাটি দেখতে পেয়ে এক পথচারী পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এসে শাহ আলমকে সেখান থেকে উদ্ধারের পর হাসপাতালে ভর্তি করে।
এ ঘটনায় শাহ আলম বাদী হয়ে বুধবার রাতে বড়াইগ্রাম থানায় মামলা করেন। পরে আবদুস সাত্তার ও কামাল হোসেনকে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ ছাড়া একই এলাকার আজিজুল ইসলাম (৩৮), বাবলু মিয়া (৩৬), আবদুস সাত্তার খানের ছেলে সবুজ হোসেন (৩০) ও সরওয়ার হোসেনকে (৩৫) আসামি করা হয়।
বড়াইগ্রাম পৌর বিএনপির সভাপতি ইসহাক আলী বলেন, ‘আবদুস সাত্তারকে ফাঁসানো হয়েছে। বাদীর কাছে তার ভাতিজা কামাল হোসেন ৮৬ হাজার টাকা পাবেন। এটা নিয়ে স্থানীয়ভাবে সালিশ বৈঠক হয়েছিল। সালিশে আবদুস সাত্তার উপস্থিত থাকায় তাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে।’
বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘মামলার এজাহারভুক্ত দুই আসামিকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান চলছে।’