ঢাকা | ০১ জুন ২০২৫ ইং | বঙ্গাব্দ

টানা বর্ষণে বান্দরবানে পাহাড় ধস, বন্ধ যোগাযোগ

প্রকাশের তারিখ: মে ৩০, ২০২৫ ইং

ছবির ক্যাপশন:
ad728
বাংলার প্রতিচ্ছবি : নিম্নচাপের প্রভাবে বান্দরবানে টানা বর্ষণে বিভিন্ন স্থানে পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটেছে। পাহাড় ধসে বান্দরবান-রুমা উপজেলা সড়কে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে পড়েছে। 

শুক্রবার সকাল থেকে ওই সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। 

এদিকে জেলায় শুক্রবার সকাল ৯টা পর্যন্ত গত চব্বিশ ঘণ্টায় ১৭৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় পাহাড় ধসে প্রাণহানির শঙ্কায় ঝুঁকিপূর্ণ বসতিগুলো ছেড়ে স্থানীয়দের নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে মাইকিং করা হচ্ছে। পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টিতে সাঙ্গু ও মাতামুহুরি নদীর পানিও বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার কাছাকাছি পানি প্রবাহিত হচ্ছে।

প্রশাসন ও সংশ্লিষ্টরা জানান, গত বুধবার থেকে জেলার সাতটি উপজেলায় থেমে থেমে ভারি বৃষ্টি হচ্ছে। পরিস্থিতি মোকাবেলায় জেলার সাতটি উপজেলার চৌত্রিশটি ইউনিয়নে ২২০টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এদিকে টানা ভারি বৃষ্টিতে রুমা, থানচি, লামা-সূয়ালক, রোয়াংছড়ি-রুমা, থানচি-আলীকদমসহ অভ্যন্তরীণ সড়কগুলোর বিভিন্ন স্থানে ছোটখাটো পাহাড় ধসে সড়কে কাদা মাটি জমে সড়কগুলো পিচ্ছিল হয়ে বিপজ্জনক হয়ে পড়েছে। বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে জেলা সদরের আর্মিপাড়া, শেরেবাংলা নগর, ইসলামপুর, ওয়াপদা এলাকাসহ আশপাশের এলাকাগুলোতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। সড়কে জমে গেছে হাঁটু পানি। 

আর্মিপাড়ার বাসিন্দা ইমরান উদ্দিন ও ক্যাচিংঘাটার ওয়েন্টিং মারমা বলেন, পৌরসভার পানি নিষ্কাশনের ড্রেনেজ ব্যবস্থাগুলো ভরাট হয়ে যাওয়ায় দুই দিনের বৃষ্টিতে শহরের নিম্নাঞ্চলের সড়কগুলোতে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। অসংখ্য ঘরবাড়িতে পানি ঢুকে পড়েছে। ক্যাচিংঘাটায় বৃষ্টিতে ধসে গেছে সড়কসহ প্রতিরক্ষা দেয়াল। চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন পৌরবাসী। 

পরিবহণ শ্রমিক নেতা মো. জাফর উল্লাহ বলেন, কয়েক দিনের বৃষ্টিতে অভ্যন্তরীণ সব সড়কেই ছোটবড় পাহাড় ধসে পড়েছে। রুমা সড়কের মুরুঙ্গ বাজার এলাকায় পাহাড় ধসে পড়ায় রুমা সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। বৃষ্টিতে পাহাড়ের মাটি ধসে সড়কগুলো পিচ্ছিল হয়ে বিপজ্জনক হয়ে পড়েছে। 

এ প্রসঙ্গে বান্দরবান জেলা প্রশাসক শামীম আরা রিনি জানান, বৃহস্পতিবার থেকে জেলার সাতটি উপজেলায় প্রচুর বৃষ্টিপাত হচ্ছে। অভ্যন্তরীণ সড়কগুলোসহ বিভিন্ন জায়গায় ছোটখাটো পাহাড় ধসের ঘটনাও ঘটেছে। প্রাণহানির আশঙ্কায় পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারীদের ঝুঁকিপূর্ণ বসতি ছেড়ে লোকজনদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে মাইকিং করা হচ্ছে। পরিস্থিতি মোকাবেলায় জেলা প্রশাসন, পৌরসভা, ইউনিয়ন পরিষদ, ফায়ার সার্ভিস ও রেডক্রিসেন্টের লোকজন মাইকিং করে সতর্ক থাকতে পরামর্শ দিচ্ছে। দুর্যোগ মোকাবেলায় জেলায় ২২০টি অস্থায়ী আশ্রয় কেন্দ্র এবং কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। 
কমেন্ট বক্স