বাংলার প্রতিচ্ছবি : বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, আমরা ডিসেম্বরে নির্বাচনের জন্য রোডম্যাপ চেয়েছিলাম। আমরা কারও পদত্যাগ চাইনি। পদত্যাগের নাটক দেখেছে বাংলাদেশের মানুষ। গণতান্ত্রিক অধিকারের জন্য কথা বলা যদি অপরাধ হয়, সেই অপরাধ আমরা বারবার করতে পারব।
বুধবার বিকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক মহাসমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আমরা ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন চেয়েছি। নিরপেক্ষ সরকার, গণতন্ত্র ও নির্বাচনের দাবিতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। আমাদের সবার লক্ষ্য হোক সবার আগে বাংলাদেশ। তারেক রহমানের নেতৃত্বে আগামীর বাংলাদেশ হবে নতুন বাংলাদেশ।
তিনি বলেন, আমরা এমন রাষ্ট্র নির্মাণ করতে চাই যেখানে তারুণ্যের অংশগ্রহণ থাকবে। ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী একটি নতুন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে কাজ করছি। অত্যন্ত সুকৌশলে ঐক্যে ফাটল ধরানোর চেষ্টা চলছে। আমরা ফ্যাসিস্ট সরকারের নির্যাতন-নিপীড়ন ও তাদের লুটপাটের কথা ভুলতে বসেছি। আমরা গণতন্ত্রের জন্য রক্ত দিয়েছি। আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
সমাবেশে সালাহউদ্দিন আহমদ আরও বলেন, আমরা ফ্যাসিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্যে ফাটল ধরানোর চেষ্টা লক্ষ করছি। অত্যন্ত সুকৌশলে গণতান্ত্রিক শক্তিগুলোর মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির পাঁয়তারা চলছে। আমরা ফ্যাসিবাদী আমলের লুটপাট, গুম, খুনের কথা ভুলতে বসেছি।
প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে কখনো আওয়ামী লীগ গণতন্ত্র বোঝেনি, স্বৈরাচার কায়েম করেছে বলে অভিযোগ করেন সালাহউদ্দিন আহমদ।
তিনি বলেন, কিন্তু আমরা যারা গণতন্ত্রের পক্ষে সংগ্রাম করেছি, তারা নাকি কোনো কোনো দেশের এজেন্ট হয়ে গেছি। এগুলো কারা করছে, সেটি আমরা বুঝতে পারি। এ দেশে পরস্পরের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করে এদের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদ ফিরে আসতে চায়।
বিএনপির তিন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন জাতীয়তাবাদী যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের উদ্যোগে ঢাকা, ময়মনসিংহ, সিলেট ও ফরিদপুর বিভাগের সমন্বয়ে ‘তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠা’ শীর্ষক এই মহাসমাবেশের আয়োজন করা হয়।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
