বাংলার প্রতিচ্ছবি : টেস্ট অভিষেকে প্রথম আফগানিস্তান ব্যাটার হিসেবে সেঞ্চুরি করে আলো ছড়ালেন ইসমত আলম। দ্বিতীয় ইনিংসে তাদের লিড ২৭৭ রানের। জিততে জিম্বাবুয়ের দরকার ২৭৮ রান। পাঁচ সেশন হাতে থাকায় লক্ষ্যটা কঠিন ছিল না। কিন্তু রশিদ খানের ভেল্কিতে চোখে সর্ষে ফুল দেখতে থাকেন স্বাগতিক ব্যাটাররা। দিনের শেষ ঘোষণা হতেই আফগানিস্তানের চোখেমুখে ছিল ক্ষীণ হতাশার ছাপ। আর দুই উইকেট নিলেই একদিন হাতে রেখে জয় নিশ্চিত হতো, কিন্তু আবার আলোর স্বল্পতায় নির্ধারিত সময়ের বেশ আগে শেষ করতে হলো দিনের খেলা। মিরাকল কিছু না হলে দ্বিতীয় টেস্টে জয়ই দেখছে সফরকারীরা। বাকি দুটি উইকেট নিলে টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডের পর টেস্ট সিরিজও জিতবে তারা। প্রথম ম্যাচ হয়েছিল ড্র।
লাঞ্চের পর দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নামে জিম্বাবুয়ে। শুরুটা ভালোই ছিল। ৪৩ রানে ভাঙে উদ্বোধনী জুটি। জিয়াউর রহমানফেরান জয়লর্ড গাম্বিকে (১৫)।
এই ধাক্কা জোরেশোরে লাগে রশিদের স্পিনে। ৯২ রানে তিন উইকেট হারিয়ে চা বিরতিতে যায় জিম্বাবুয়ে। ফিরে আফগান লেগস্পিনার তার তৃতীয় উইকেট তুলে নিলে বিপদে পড়ে স্বাগতিকরা। ৯৯ করতেই চার উইকেট হারানোর পর ক্রেইগ আরভিনকে নিয়ে সিকান্দার রাজা এই বিপদ থেকে উদ্ধারের আভাস দেন।
৫৮ রানের জুটিটি ভেঙে দিয়ে আবারও রশিদ ভয়ঙ্কর রূপে স্বাগতিকদের সামনে দাঁড়ান। ২০ রানের ব্যবধানে এই লেগস্পিনারের কাছে আরও তিন উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ানরা। জিয়াউর দলীয় ১৭৮ রানে অষ্টম উইকেট পান।
তারপর হাফ সেঞ্চুরি করে আরভিন শেষ প্রতিরোধ গড়েন। এনগারাভার সঙ্গে নবম উইকেটে ২৭ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে দিন শেষ করতে সফল হন তিনি। আলোর স্বল্পতায় আগেভাগে দিন শেষ হয়েছে। ৮ উইকেটে ২০৫ রান জিম্বাবুয়ের। জিততে এখনও দরকার ৭৩ রান। ৫৩ রানে অপরাজিত খাকা আরভিন কি পারবেন অসম্ভবকে সম্ভব করে বাকি রান করতে?
এদিন রশিদ ২৬ ওভারে ৬৬ রান দিয়ে নিয়েছেন ৬ উইকেট। বাকি দুটি জিয়ার।
এর আগে আফগানিস্তান ৭ উইকেটে ২৯১ রানে দিনের খেলা শুরু করে। ৬৪ রানে খেলতে নামা ইসমত ১৭৩ বলে সেঞ্চুরি করে অনন্য উচ্চতায় পৌঁছান। তার ১৯১ বলে ১০১ রানের ইনিংসে সফরকারীরা ৩৬৩ রানে থামে।
ব্লেসিং মুজারাবানি জিম্বাবুয়ের পক্ষে দ্বিতীয় ইনিংসে সর্বোচ্চ ৬ উইকেট নেন।