ঢাকা | ০৬ Jul ২০২৫ ইং | বঙ্গাব্দ

চিতলমারীতে আদালতের রায় অবমাননা করে ঘের দখলের চেষ্টা, আহত-২

প্রকাশের তারিখ: Jul ৬, ২০২৫ ইং

ছবির ক্যাপশন:
ad728
প্রিন্স মন্ডল অলিফ (বাগেরহাট  প্রতিনিধি) : বাগেরহাটের চিতলমারীতে বসতভিটা, ধানি জমি ও মাছের ঘের নিয়ে পুর্ব শত্রুতার জের ধরে একপক্ষ অন্য পক্ষকে পিটিয়ে মারাত্মক আহত করেছে।  পল্লব মন্ডল(১৭) নামে মুমুর্ষ অবস্থায় একজনকে চিতলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছেন তার পিতা ও আত্মীয়স্বজন । এ ব্যপারে চিতলমারী থানায় ৬ জনের নামে একটি অভিযোগ্ পত্র দায়ের করা হয়েছে। ঘটনাস্থল উপজেলার রায় গ্রামের বাঁশতলী খালের পুর্বপাশে মাছের ঘেরে। এ ঘটানাটি সরেজমিন পর্যবেক্ষণ, হাসপাতাল ও থানার অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে।

অভিযোগকারী দীপক মন্ডল (৫০) জানান, কয়েক যুগ ধরে রায়গ্রামের বাঁশতলী খালের পুর্বপাশে একটি মৎস্য ঘের তারা ভোগদখল করে আসছেন। এ অবস্থায় স্থানীয় মৃত: কিরণ মৃধার ছেলে ননী গোপাল মৃধার সাথে মামলা মোকদ্দমা চলমান। সর্ব শেষ ওই মামলায় অসীম মৃধা গংদের অনুকুলে রায় আসে বলে দাবি করা হয়, যার পরিপ্রেক্ষিতে জমি দখলের জন্য সচেস্ট হয় অসীম মৃধা গং কিন্তু বিষয়টি দিপক মন্ডল জানতে পেরে বাগেরহা্টের  বিজ্ঞ আদালতে আপিল করে স্থগিতাদেশ আনেন। 

স্থগীতাদেশ আনার পরও বিরোধীপক্ষ পূণরায় দখলের জন্য হুমকি ধামকি অব্যাহত রাখে। হুমকির বিষয়টি বাগেরহাট পুলিশ সুপারকে লিখিত ভাবে জানানো হলে এ নিয়ে বৃহস্পতিবার (৩জুলাই) দুপুরে উভয় পক্ষকে নিয়ে বাগেরহাটের এ এস পি সার্কেল বৈঠক করেন। এ সময় কাগজ পত্র পর্যালোচনা করে উভয় পক্ষকে বলেন- সম্পত্তিতে আদালতের স্থগিতাদেশ আছে, যে ভাবে যারা আছেন, শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষার্থে সে ভাবে থাকবেন।

পরিশেষে আদালত এবং পুলিশ প্রশাসনকে আমান্যকরে শুক্রবার (৪ জুলাই) দুপুরে অসীম মৃধার নেতৃত্বে ননী গোপাল মৃধা (৬০), বিকাশ মৃধা (৩৫), বিনয় মৃধা, সাগরিকা (২৯) ও চুমকি মৃধা দা’-লাঠি, লোহার রড,হাতুড়ী নিয়ে মাছের ঘেরটি দখল করতে যায়। এই খবর শুনে দীপক মন্ডলের স্ত্রী-ও তার ছেলে পল্লব মন্ডল(১৭), তাদের ঘেরের কাছে যান এবং দেখতে পান ঘেরের মাছ ও পাড়ের গাছ-পালা নষ্ট করছে অসীম মৃধার লোকজন। 

এ সময় উপায়ান্তর না পেয়ে পল্লব মৃধার হাতে থাকা মোবাইল ফোন দিয়ে এই দৃশ্য ভিডিও করতে গেলে প্রতিপক্ষের লোকজন তাকে লাঠি-সোটা দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে, এই খবর পেয়ে তার মা বাবা চাচী ও বড়বোন ঘটনাস্থলে ছুটেযান ও তাকে উদ্ধার করে চিতলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।

অপর পক্ষের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে অসীম মৃধা বলেন তার মা’ গীতা মৃধাকে বেধড়ক পিটিয়েছে পল্লব ও তার মা বোন ; পল্লবকে কে বা কারা মেরেছে তা আমি জানিনা কারন তখন আমি জরুরীভাবে আমার মাকে নিয়ে হাসপাতালে রওনা দেই। এ বিষয়ে জানতে চাইলে চিতলমারী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এস.এম. শাহাদাৎ হোসেন জানান এক পক্ষের অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
কমেন্ট বক্স