বাংলার প্রতিচ্ছবি : বরগুনায় ডেঙ্গু পরিস্থিতি দিন দিন আরও উদ্বেগজনক হয়ে উঠছে। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় নতুন করে ১০২ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন, যা এ বছরের মধ্যে একদিনে সর্বোচ্চ আক্রান্তের রেকর্ড। এ নিয়ে জেলার মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৪৫৯ জনে। এ পর্যন্ত ডেঙ্গুতে প্রাণ হারিয়েছেন ২৮ জন।
রোববার (৭ জুলাই) বরগুনার সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
জানা গেছে, নতুন আক্রান্তদের মধ্যে বরগুনা সদর উপজেলাতেই রয়েছেন ৭৬ জন। এছাড়া পাথরঘাটা উপজেলায় ১২ জন, এবং তালতলী ও বামনা উপজেলায় ৭ জন করে আক্রান্ত হয়েছেন।
এছাড়া জেলায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন আছেন ২২৭ জন। এদের মধ্যে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ১৬৬ জন, আমতলী উপজেলায় ৬ জন, বেতাগীতে ৩ জন, বামনায় ১৭ জন, পাথরঘাটায় ২১ জন এবং তালতলী উপজেলায় ১৪ জন চিকিৎসাধীন আছেন।
জেলায় মোট ডেঙ্গু আক্রান্তের মধ্যে সদর উপজেলায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৭০ জন, তালতলী উপজেলায় ৫৪ জন, বামনা উপজেলায় ১০৩ জন, বেতাগী উপজেলায় ৩৫ জন, আমতলী উপজেলায় ৪২ জন এবং পাথরঘাটা উপজেলায় ১১৫ জন।
অন্যদিকে, জেলায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া ২৮ জনের মধ্যে ২৪ জনের বাড়ি বরগুনা সদর উপজেলায়, তিনজনের বাড়ি বেতাগী উপজেলায় এবং ১ জনের বাড়ি পাথরঘাটা উপজেলায়।
বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. তাজকিয়া সিদ্দিকাহ বলেন, ‘বর্তমানে ডেঙ্গু রোগীর চাপ ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিনিয়ত রোগী আসছে। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি চিকিৎসা দিতে, তবে পরিস্থিতি দিন দিন জটিল হচ্ছে।’
এ বিষয়ে বরগুনার সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ আবুল ফাত্তাহ বলেন, ‘দিন যত যাচ্ছে, ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ততই বাড়ছে। কিছুতেই তা নিয়ন্ত্রণে আসছে না। এরইমধ্যে আমাদের চিকিৎসা সেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে।’
তিনি আরও বলেন, ‘জনগণের সচেতনতার পাশাপাশি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান ও ব্যাপক মশক নিধন কার্যক্রম ছাড়া এ পরিস্থিতি সামাল দেয়া সম্ভব নয়।’