প্রতিদিনের বাংলার প্রতিচ্ছবি : দু-একটা ম্যাচ অথবা সিরিজ জিতে লাভ নেই। বরং সামর্থ্যের প্রমাণ দিতে বাংলাদেশকে জিততে হবে বড় কোনো শিরোপা। এমন মন্তব্য করেছেন সাবেক ভারতীয় ক্রিকেটার ও ধারাভাষ্যকার সঞ্জয় মাঞ্জরেকার। সিনিয়রদের ছেঁটে ফেলে ভালো করেছে বাংলাদেশ। কয়েক ম্যাচ পারফর্ম না করলেও তাওহীদ হৃদয়-শেখ মেহেদীদের আগলে রাখার পরামর্শ এই ক্রিকেট বিশ্লেষকের।
সঞ্জয় মাঞ্জরেকারের মাঝে দেখা হতো সুনীল গাভাস্কারের প্রতিভা। তবে প্রত্যাশা পূরণ হয়নি। ক্রিকেট ছাড়লেও ক্রিকেটের সঙ্গেই আছেন। অবশ্য সাবেক ভারতীয় এই ক্রিকেটারের প্রথম ভালোবাসার নাম ক্রিকেট নয়। এই খেলাটি নাকি তার দ্বিতীয় ভালোবাসা।
সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, তার পছন্দ কিশোর কুমার। বাংলা না বুঝলেও, বাংলা গানটা বেশ পছন্দ। গানের মতো বাংলাদেশের ক্রিকেটেরও খোঁজ রাখেন। তার মতে, পঞ্চপান্ডবখ্যাত সাকিব-মাশরাফিদের পেছনে ফেলে ভালো করেছে টিম টাইগার।
মাঞ্জরেকার বলেন, ‘১০-১৫ বছর আগে অভিষেক হওয়া সিনিয়রদের মাঝে টি-২০ মনোভাব তেমনভাবে থাকে না। ব্যাটারদের জন্য আগে আউট না হওয়াটাই ছিল গুরুত্বপূর্ণ। তবে নতুন জেনারেশন টি-২০'র জন্য আরও মানানসই। যেমন অভিষেক শর্মা। ও কিন্তু সেঞ্চুরি করতে খেলে না। বরং প্রতিটা বলে সর্বোচ্চ ফল আনতে চায়। এটাই পার্থক্য। কোনো দল যখন সিনিয়রদের ছেড়ে নতুনদের সুযোগ দেয়, তখন ঐ দলের ভালো করার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। যদি আপনি ট্রিকি উইকেটে ১৪০-১৫০ রান তাড়া করেন তখন হয়তো অভিজ্ঞতা দরকার হবে। তবে বর্তমানে এধরনের পরিস্থিতি আপনি খুব কমই পাবেন।’
তরুণদের আরও বেশি সুযোগ দেওয়ার পক্ষে এই সাবেক ক্রিকেটার। হৃদয়-মেহেদীদের নিয়ে আশাবাদী তিনি। বিসিবিকেও পরামর্শ দিয়েছেন তাদের আগলে রাখার।
সাবেক ভারতীয় এ ক্রিকেটার বলেন, ‘বাংলাদেশ ৩-৪ জন তরুণ ক্রিকেটার আছে। যাদের ৩-৪ ম্যাচ হয়তো বাজে যেতে পারে, তবে তাদেরকে ধরে রাখুন। দিনশেষে এরাই তারকা হবে। যখন তারা আত্মবিশ্বাস পাবে, তখন আরও ধারাবাহিক হবে। আমার মতে, তাওহীদ হৃদয় কিংবা শেখ মেহেদীদের এধরনের যোগ্যতা রয়েছে।’
দ্বিপাক্ষিক সিরিজে প্রায় সফল হলেও, বৈশ্বিক মঞ্চে ব্যর্থ বাংলাদেশ। এশিয়া কাপের আগেও সাবেক ক্রিকেটাররা প্রশ্ন তোলে সামর্থ্য নিয়ে। সঞ্জয়ের মতে, সমালোচনা যৌক্তিক, দ্বিপাক্ষিক সিরিজের অর্জনের চেয়েও বাংলাদেশকে বেশি মনোযোগ দিতে হবে বড় শিরোপা জয়ে।
তিনি বলেন, ‘যারা বাংলাদেশের সমালোচনা করে তাদের আপনি দোষারোপ করতে পারবেন না। কারণ বাংলাদেশ লম্বা সময় ধরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলছে এবং এখন তাদের লক্ষ্য হওয়া উচিত শিরোপা জেতা, ম্যাচ কিংবা সিরিজ নয়। তাদের আসলে বিশ্বাস করতে হবে তারা যেকোনো দলের মতোই ভালো।’
আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ জিতলেও নেই স্বস্তি। সহজ টার্গেটেও খেই হারায় বাংলাদেশ। বাউন্ডারি ছাড়া রান তুলতে ব্যর্থ ব্যাটাররা। এশিয়া কাপেও ছিল একই অবস্থা। পাকিস্তান ম্যাচে ডট বলের সংখ্যাটা ৬০। এখানেই পরিবর্তন আনতে বললেন মাঞ্জরেকার।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের মতো দলের শারীরিকভাবে প্রচন্ড ফিট আর অ্যাথলেটিক হতে হবে। কারণ এটাই শুধু নিয়ন্ত্রণে থাকে। রানিং বিটুইন উইকেটে আরও অ্যাক্টিভ হতে হবে। এখন তো ফিটনেস অনেক গুরুত্বপূর্ণ। বিরাট কোহলি বড় উদাহরণ।’