বাংলার প্রতিচ্ছবি : তিন মাসেরও বেশির সময় ধরে অস্থিরতার মধ্যে রয়েছে তুরস্ক। প্রধান বিরোধী দলীয় নেতা একরেম ইমামোগলুর গ্রেফতারের পর থেকে উত্তপ্ত দেশটির রাজপথ। বিভিন্ন স্থানে হয়েছে সরকারবিরোধী ব্যাপক বিক্ষোভ। এবার সেই জনরোষ নতুন করে উসকে দিলো এরদোয়ান প্রশাসন। বুধবার প্রধান বিরোধী দল রিপাবলিকান পিপলস পার্টি সিএইচপির আরও পাঁচ মেয়রসহ ২২জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, সিএইচপির গ্রেফতার হওয়া পাঁচ মেয়রের মধ্যে তিনজন ইস্তাম্বুলের জেলা মেয়র। অন্য দুজন দক্ষিণাঞ্চলীয় আদানা প্রদেশের মেয়র।
এছাড়া দলটির সাবেক এক সংসদ সদস্যকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগের পরই তুরস্কের আদালত নতুন করে বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেন।
ইস্তাম্বুলের চারটি পৃথক দুর্নীতি মামলার তদন্তের অংশ হিসেবে গত শনিবারও অভিযান পরিচালনা করছে কর্তৃপক্ষ। সেদিন ৪৭ পৌর কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
পুলিশ এরইমধ্যে ইস্তাম্বুল সিটি হলের দুর্নীতির অভিযোগে প্রায় ৭০ জনকে গ্রেফতার করেছে। তাদের মধ্যে ইমামোগলুর ব্যক্তিগত সচিব ও তার নিরাপত্তা কর্মকর্তাও রয়েছেন।
বিরোধী দলীয় নেতা একরেম ইমামোগলুকে গ্রেফতার করা হয় গত ১৯ মার্চ। তাকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে তুরস্কে এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ হয়েছে। বিক্ষোভে সিএইচপির সমর্থকদের পাশাপাশি সমাজের নানা অংশ ও গোষ্ঠীর বিপুলসংখ্যক মানুষ অংশ নেন।
সিএইচপি এরইমধ্যে ২০২৮ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ইমামোগলুকে প্রার্থী ঘোষণা করেছে। বিভিন্ন জরিপে তিনি এরদোয়ানের চেয়ে এগিয়ে রয়েছেন। তবে নির্বাচনে তিনি অংশ নিতে পারবেন কি না, তা বিচার কার্যক্রমের ফলাফলের ওপর নির্ভর করছে।
তুরস্কের সরকারি কর্মকর্তা ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের অনেকেই মনে করেন, ২০২৮ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে নিজের কোনো শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী রাখতে চান না প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান। এ কারণেই অনেকের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অভিযোগ এনে আটক করা হচ্ছে। যদিও এমন অভিযোগ বরাবরাই উড়িয়ে দিয়েছেন এরদোয়ান।