বাংলার প্রতিচ্ছবি : সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার তাড়ল ইউনিয়নের রনভূমি গ্রামে জায়গা সংক্রান্ত বিরোধ ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ ১৮ জনসহ আহত হয়েছেন অন্তত ৩০ জন।
রোববার সকালে গ্রামের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান চৌধুরী ও সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুস সালামের লোক এবং একই গ্রামের আশিক মিয়া ও মুক্তিযোদ্ধা শফিক চৌধুরীর লোকজনের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষ চলাকালে আশিক মিয়ার পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মাঠে জড়ো হলে লুৎফর রহমানের পক্ষের লোকজন বন্দুক দিয়ে গুলি ছোড়েন। এতে আশিক মিয়ার পক্ষের অন্তত ১৮ জন গুলিবিদ্ধসহ উভয়পক্ষের ৩০ জন আহত হন।
গুলিবিদ্ধ হয়ে আহতরা হলেন- মাদ্রাসাছাত্র মুন্না (১৫) ও বিজয় ইসলাম (১৪), আমিরুল (২৪), মোজ্জাকির (৪২), তুফায়েল মিয়া (৩৮), মরোম মিয়া (৬০), ছাতির মিয়া (৬৫), মাসুম আহমেদ (২০), জাহিদ আলম (২৬), জয় ইসলাম (২০), শাকিবুল (১২), পাবেল মিয়া (৪২), শাহরুখ খান (২১), মো. মোজাহিদ (২৩), শাহালম মিয়া (৭০), বারেক চৌধুরী রুবেল (৪০), টিপু মিয়া (২৬) ও আব্দুস সাত্তারসহ (৫০)। তাদের দিরাই হাসপাতালের জরুরি বিভাগে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
দিরাই হাসপাতালের কর্তব্যরত মেডিকেল অফিসার ডা. পিন্টু দাস জানান, গুলির আলামত পাওয়া গেছে। তবে এক্সরে করার পর নিশ্চিত হওয়া যাবে।
পুলিশ ও গ্রামবাসী সূত্রে জানা গেছে, রণভূমি গ্রামের সাবেক চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান চৌধুরী, আব্দুস সালাম ও আশিক মিয়ার মধ্যে স্কুল, মাদ্রাসা, মসজিদ এবং জায়গা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বিরোধ চলছিল। আশিক মিয়ার ভাই যুক্তরাজ্য প্রবাসী রাসিকুল ইসলাম গ্রামের পাশে জায়গা ক্রয় করে স্কুল নির্মাণের উদ্যোগ নেন। এতে বাধা দেন লুৎফর রহমান ও সালাম মিয়ার লোকজন। এ নিয়ে গত দুই দিন আগে আশিক মিয়ার ভাই মনসুর মিয়াকে লুৎফুর রহমানের লোকজন দিরাই বাজারে হামলা করে। এর জের ধরে রোববার সকালে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দিরাই থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক। তিনি জানান, সংঘর্ষের পর পুরো গ্রাম পুরুষশূন্য অবস্থায় আছে। গ্রামে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। জড়িতদের ধরতে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।