ঢাকা | ১৪ এপ্রিল ২০২৫ ইং | বঙ্গাব্দ

বই চোরদের গ্রেফতারের দাবিতে রৌমারীতে মানববন্ধন

প্রকাশের তারিখ: মার্চ ৪, ২০২৫ ইং

ছবির ক্যাপশন:
ad728
বাংলার প্রতিচ্ছবি : শেরপুরে পুলিশের হাতে আটক ট্রাকভর্তি বিনামূল্যে বিতরণের মাধ্যমিক পর্যায়ের ৯ হাজার সরকারি বই চুরির সাথে জড়িতদের গ্রেফতারের দাবিতে কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলায় বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (২৫ জানুয়ারি) বিকালে উপজেলা শহরে ‘সর্বস্তরের জনগণ’ ব্যানারে এই কর্মসূচি পালন করা হয়।

মানববন্ধনে বক্তারা প্রশাসনের কাছে প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘রৌমারীর বই শেরপুরে কেন? প্রশাসন কী করে? অবিলম্বে বই চোরদের গ্রেফতার করতে হবে। অন্তর্বর্তী সরকারকে বেকায়দায় ফেলতেই এই বই চুরি ঘটানো হয়েছে।’

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন রৌমারী শাখার সমন্বয়ক সাজেদুল ইসলাম সবুজ,  আমীর হামজা, মাওলানা রিয়াজুল ইসলাম, শাহীন বাগী, শামীম আহম্মেদ প্রমুখ।

সমন্বয়ক সাজেদুল ইসলাম সবুজ বলেন, ‘এতগুলো বই চুরির সাথে শুধু অফিসের পিয়ন জড়িত থাকতে পারে না। এর সাথে অন্য কর্মকর্তারাও জড়িত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। চুনোপুঁটি ধরলে হবে না। রাঘব বোয়ালদের ধরে বিচারের আওতায় আনতে হবে।’

জড়িত সকলকে আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতারের আল্টিমেটাম দেওয়া হয়। অন্যথায় উপজেলা প্রশাসন কার্যালয় ও থানা ঘেরাও কর্মসূচি দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন বক্তারা।

এরআগে, গত বুধবার (২২ জানুয়ারি) রাতে শেরপুর সদর উপজেলায় বইভর্তি একটি ট্রাক জব্দ করে পুলিশ। যেখানে সরকারিভাবে বিতরণের জন্য বরাদ্দ করা মাধ্যমিক পর্যায়ের অষ্টম, নবম ও দশম শ্রেণির ৯ হাজার সরকারি বই পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে শেরপুর সদর থানা পুলিশ। বইগুলো কুড়িগ্রামের রৌমারী সিজি জামান সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় চত্বর থেকে নেওয়া হয়েছিল বলে প্রাথমিক তথ্যের বরাতে জানায় শেরপুর থানা পুলিশ। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করে।

এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ট্রাকচালক সজল মিয়া এবং বইয়ের সাথে থাকা মাহিদুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে শেরপুর থানা পুলিশ। মাহিদুলের বাড়ি রৌমারী উপজেলায়। পরে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রৌমারী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের কর্মচারী জামাল উদ্দিনকে গ্রেফতার করা হয়। আসামিদের বিরুদ্ধে পরস্পর যোগসাজশে কালোবাজারে বিক্রির উদ্দেশ্যে সরকারি বই পাচার, অর্থ আত্মসাৎসহ সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার অভিযোগ আনা হয়েছে।

এদিকে বই পাচারের ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি করেছে রৌমারী উপজেলা প্রশাসন। কমিটির তদন্ত প্রতিবেদন তৈরি করে উপজেলা প্রশাসনকে জমা দিয়েছে। কমিটি প্রাথমিক তদন্তে স্টোররুমে বই ঘাটতির সত্যতা পেয়েছে বলে দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের বই রাখার স্টোর রুম সিলগালা করেছে উপজেলা প্রশাসন।

এ ব্যাপারে জানতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) রাসেল দিও’র সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। জেলা শিক্ষা অফিসার মো. শামসুল আলম বলেন, ‘ তদন্ত প্রতিবেদন উপজেলা প্রশাসনের কাছে রয়েছে। তবে আমি বই ঘাটতির বিষয়টি জানতে পেরেছি। তাতে মনে হয়েছে উদ্ধার বইগুলো রৌমারী থেকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিলো।’
কমেন্ট বক্স