বাংলার প্রতিচ্ছবি : গাজীপুরে ডার্ড কম্পোজিট টেক্সটাইল লিমিটেড শ্রমিক-কর্মচারীদের বকেয়া বেতন, বোনাস ও অন্য পাওনাদি পরিশোধে সরকারের পক্ষ থেকে নেওয়া লোনের টাকা শ্রমিকদের মধ্যে বিতরণ না করায় বিক্ষোভ মিছিল করেছেন শ্রমিক-কর্মচারীরা। বিক্ষোভ মিছিলটি ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক প্রদক্ষিণ করে।
বুধবার (৮ জানুয়ারি) বিকাল ৪টায় গাজীপুরের রাজেন্দ্রপুর চৌরাস্তায় বিক্ষোভ মিছিল করেন শ্রমিকরা।
ডার্ড কম্পোজিট টেক্সটাইল লিমিটেডের ঊর্ধ্বতন নির্বাহী (সিনিয়র এক্সিকিউটিভ) আমিনুর রহমান বলেন, আমাদের ধর্মীয় গ্রন্থে উল্লেখ আছে শ্রমিকের ঘাম শুকানোর আগেই তার মজুরি পরিশোধের কথা। তবে আমরা যে হাড়ভাঙা পরিশ্রম করেছি তার এক টাকাও পাইনি। আমাদের শ্রমিকরা না খেতে পেয়ে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরতেছে। আমাদের ন্যায্য দাবি নিয়ে রাস্তায় নেমেছি। আর কোনও টালবাহানা চাই না, আমরা আমাদের পাওনাদি ফেরত চাই।
বাংলাদেশ গার্মেন্টস অ্যান্ড শিল্প শ্রমিক ফেডারেশনের গাজীপুর মহানগর শাখার সভাপতি সফিউল আলম বলেন, আগামী রবিবারের (১২ জানুয়ারি) মধ্যে বকেয়া বেতন পরিশোধ না করলে সোমবার (১৩ জানুয়ারি) ঢাকায় শ্রম ভবন ঘেরাও করা হবে। গত ১০ ডিসেম্বর সরকার কারখানার মালিককে ১৩ কোটি টাকা লোন দিয়েছে। আমরা জানতে চাই, এই বন্ধ কারখানাটিকে সরকার যে ১৩ কোটি টাকা লোন দিয়েছে- সেই টাকা কার পকেটে গেছে? সরকারের দেওয়া লোনের ১৩ কোটি টাকা থেকে মাত্র ছয় কোটি টাকা শ্রমিকদের মাঝে বিতরণের কথা উল্লেখ করে। বাকি টাকা কেন শ্রমিক ও স্টাফদের মাঝে এখনও বিতরণ করা হয়নি? কারখানার মালিক রাতের আঁধারে কারখানা বন্ধ করে চলে গেছে।
ডার্ড কম্পোজিটের স্যাম্পল সেকশনের উপ-মহা ব্যবস্থাপক (ডেপুটি ম্যানেজার) মাহবুবুর রহমান বলেন, আমাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। আজকে আমরা সড়কে দাঁড়িয়েছি। আমার বড় ছেলেটার এক বছর ধরে লেখাপড়া বন্ধ। এক লাখ টাকা ঘর ভাড়া আটকে আছে। আমি ১১ বছর চাকরি করেছি এই কারখানায়। কিন্তু বকেয়া বেতন, বোনাস ও অন্য পাওনাদি মিলিয়ে ছয় লাখ টাকা পাবো। এই টাকাগুলো আদৌ পাবো কি না তার নিশ্চয়তা নেই।