ঢাকা | ১২ অক্টোবর ২০২৫ ইং | বঙ্গাব্দ

মধুপুরে জমি রেজিস্ট্রি নিয়ে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশিত করার প্রতিবাদ

প্রকাশের তারিখ: অক্টোবর ৬, ২০২৫ ইং

ছবির ক্যাপশন:
ad728
প্রতিদিনের বাংলার প্রতিচ্ছবি:- গত ২৮শে সেপ্টেম্বর মধুপুর সাব রেজিট্রার অফিসে একটি দলিল নিয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় মিথ্যা সংবাদ প্রকাশের প্রতিবাদ করেছেন দলিল লেখক মো: আ: সামাদ (সনদ নং-১৫৯৫), মো: মিরাজ আলী (সনদ নং-১৮৬৪) মধুপুর সাব রেজিস্টার অফিস এবং জমিদাতা আব্দুল মজিদের ছেলে মো: মনোয়ার হোসেন, মো: শাহীনুল ইসলাম।

এক প্রতিবাদ লিপিতে তারা বলেছেন, গত ২৮/০৯/২০২৫খ্রি. তারিখে মধুপুর পৌর এলাকার মালাউড়ী মৌজার আব্দুল মজিদের মালিকানাধীন জে.এল নং- ১৯২, ২২ নম্বর এস.এ খতিয়ান এবং বি.আর.এস ৭০৬ খতিয়ানের ১১৫ নম্বর এস.এ দাগের এবং বিআরএস ৭৪৩ নম্বর দাগের ২০ শতাংশ থেকে ৬ শতাংশ জমি প্রতি শতাংশ ৫,৩০,০০০/- (পাঁচ লক্ষ ত্রিশ হাজার) টাকা দরে ৩১,৮০,০০০/- (একত্রিশ লক্ষ আশি হাজার) টাকা সাব্যস্ত করে জনৈক আয়েজ উদ্দিন আজাদ গংদের নামে রেজিস্ট্রি সম্পন্ন কারার কথা। গ্রহিতাগণ ওনাদের বায়নাকৃত ৬ শতাংশ জমির স্থলে ৬.৫৯ শতাংশ জমি দলিলে লেখার প্রস্তাব করেন। এ ব্যাপারে দাতা-গ্রহিতাদের সাথে প্রথম দফা তর্কাতর্কি হয়। আমাদের বাবা জমির দাতা আ. মজিদ সাহেব খুবই অসুস্থ। তার চিকিৎসার জন্যই জমি বিক্রির এই আয়োজন। তার দুই ছেলে মনোয়ার হোসেন ও শাহীনুল ইসলাম গ্রহিতাদের বার বার অনুরোধ করেন দলিল দ্রুত রেজিষ্ট্রি করার জন্য। গ্রহিতাগণ
বায়নায় আবদ্ধ ৩১,৮০,০০০/- টাকার মধ্যে ৮০ হাজার টাকা কম দেয়ার সূত্র ধরে আবার দ্বিতীয় দফা দুই পক্ষের
মধ্যে তর্ক শুরু হয়। এক পর্যায়ে সিদ্ধান্ত হয় দাতা তাদের কাছে জমিই বিক্রি করবে না। এদিকে গ্রহিতাগণ এক
পর্যায়ে সাংবাদিক ডেকে আনেন। মধুপুর প্রেস ক্লাবের সভাপতি জনাব মো: জয়নাল আবেদীন সাহেবের পরামর্শেই সিদ্ধান্ত হয় গ্রহিতাগণ বায়না পত্র দলিল ফেরত দিবেন এবং দাতা বায়নার ১,০০,০০০/- (এক লক্ষ) টাকা ফেরত দিবেন। সেই অনুযায়ী বায়না দলিল ও টাকা একে অপরের কাছে হস্তান্তর হয়। বায়নাকৃত দলিল ছিঁড়ে ফেলে দাতাপক্ষ অফিস ত্যাগ করেন। 


এরপর টানা কয়েকদিন ধরে ইত্তেফাক অনলাইন, আজকের পত্রিকা, ভোরের ডাকসহ বিভিন্ন পত্রিকায় একই তথ্য সূত্র দিয়ে 'দাবিকৃত ঘুষ না দেয়ার কারণে' দলিল হয়নি বলে সংবাদ প্রকাশ হতে থাকে। অজ্ঞাত কারণে ঐ সাংবাদিকরা ওই জমির বিষয়ে নানান মিথ্যা তথ্যে এই সংবাদ পত্রিকায় ছাপাচ্ছেন। সংবাদে ঘুষ দেয়ার তথ্যটি ভিত্তিহীন। সাব রেজিস্ট্রারকে দাতার অসুস্থ্যতার কথা জানালে তিনি বিষয়টি অবগত হন। দাতা কথা বলতে না পারার কারণে সাব রেজিস্ট্রার এই দলিল আদালতের অনুমতি লাগবে বলে জানান। একে ঘুষের কল্পিত রূপ দিয়ে উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয়ে সংবাদ করা হয়। বিভিন্ন পত্রিকায় একই ধরণের সংবাদ ও বিভিন্ন অফিসে দেয়া লিখিত অভিযোগের যোগসূত্র একই। এসবে ঘুষ না দেয়ায় দলিল হয়নি বলে যে তথ্য উপস্থাপিত হয়েছে তা সর্বৈব মিথ্যা, বানোয়াট, কাল্পনিক এবং উদ্দেশ্য প্রণোদিত।

"এই ভিত্তিহীন সংবাদে সাব রেজিস্ট্রার ও দলিল লেখকদের সম্মান ক্ষুন্ন হয়েছে। দলিল লেখকদের সাথে কথা না
বলেই সাংবাদিকগণ মনগড়া বক্তব্য তাদের বলে চালিয়ে সংবাদে উপস্থাপন করেছেন । যা সাংবাদিকতার নিয়ম
বহির্ভূত । ফলে এমন সংবাদ দলিল লেখকগণকে তাদের পেশার ক্ষেত্রে বিব্রত করেছে। সামাজিকভাবে তাদের
সম্মানহানী হয়েছে বলে মনে করছেন। দাতাপক্ষও এমন ভিত্তিহীন সংবাদে বিব্রত। 

প্রতিবাদকারীরা উল্লেখিত মিথ্যা প্রতিবেদনটির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

প্রেস বিজ্ঞপ্তি।
কমেন্ট বক্স