ঢাকা | ০৬ জুন ২০২৫ ইং | বঙ্গাব্দ

ইউক্রেনের ড্রোন হামলার ‘কঠোর’ জবাব দেবে রাশিয়া, ট্রাম্প-পুতিনের ফোনালাপ

প্রকাশের তারিখ: জুন ৫, ২০২৫ ইং

ছবির ক্যাপশন:
ad728
বাংলার প্রতিচ্ছবি : রাশিয়ায় ইউক্রেনের সাম্প্রতিক ড্রোন হামলার জবাবে মস্কো কঠোর প্রতিক্রিয়া জানাবে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন । বুধবার এক ফোনালাপে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে এ কথা জানান পুতিন। ট্রাম্প নিজেই এ তথ্য জানিয়েছেন।

ট্রাম্প তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া এক পোস্টে বলেন, ‘আমরা ইউক্রেনের দ্বারা রাশিয়ার ডক করা বিমানবহরের ওপর আক্রমণ ও উভয় পক্ষের নানা হামলা নিয়ে আলোচনা করেছি। প্রেসিডেন্ট পুতিন স্পষ্টভাবে বলেছেন, সাম্প্রতিক বিমানঘাঁটির ওপর হামলার প্রতিক্রিয়া জানাবেন তিনি।’

‘আলোচনাটি ইতিবাচক  ছিল’ উল্লেখ করে ট্রাম্প বলেন, ‘তবে তাৎক্ষণিকভাবে শান্তির পথে কোনো অগ্রগতি হবে বলে মনে হচ্ছে না।’

এর আগে বুধবার মস্কো জানায়, রাশিয়ার গভীরে চালানো ইউক্রেনের হামলার প্রতিক্রিয়ায় সামরিক বিকল্প বিবেচনায় আছে।একই সঙ্গে পশ্চিমা দেশগুলোকে এসব হামলায় পরোক্ষভাবে দায়ী করা হয়। মস্কো কিয়েভকে সংযত করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের প্রতিও আহ্বান জানায়।

ইউক্রেন যদিও এ হামলাগুলোকে যুদ্ধের তিন বছরের বেশি সময় পরে নিজেদের পাল্টা প্রতিরোধ ক্ষমতার প্রমাণ বলে উল্লেখ করেছে। তবে ব্রিটিশ ও মার্কিন কর্মকর্তারা দাবি করেন, রাশিয়ার পারমাণবিক সক্ষমতা সম্পন্ন বোমারু বিমানঘাঁটিতে হামলার ব্যাপারে তাদের কাছে আগে থেকে কোনো তথ্য ছিল না।

ট্রাম্প বহুবার এমন দাবি করেছেন যে, তিনি ক্ষমতায় থাকলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করতে পারতেন। যদিও এ বিষয়ে বিস্তারিত কোনো পরিকল্পনা তিনি প্রকাশ করেননি। তবে রাশিয়ার সহযোগিতা না পাওয়ায় এবং নিজের প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে না পারায় তার ভেতরে পুতিনের প্রতি অসন্তোষ বেড়েছে।

এদিকে বুধবারের ফোনালাপে ট্রাম্প ও পুতিন ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়েও কথা বলেছেন। এ বিষয়ে ট্রাম্প জানান, পুতিন তেহরানের সঙ্গে একটি নতুন পরমাণু চুক্তির বিষয়ে আলোচনায় অংশ নিতে রাজি।

ট্রাম্প তার ওই পোস্টে লিখেছেন, ‘আমি প্রেসিডেন্ট পুতিনকে বলেছি— ইরানের পারমাণবিক অস্ত্র থাকতে পারে না। এ বিষয়ে আমাদের মধ্যে ঐকমত্য হয়েছে বলে আমি বিশ্বাস করি।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমার মতে, ইরান ইচ্ছাকৃতভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া বিলম্বিত করছে। এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে এখন আমাদের একটি স্পষ্ট ও দ্রুত জবাব দরকার।’

এ বিষয়ে ক্রেমলিন জানায়, পুতিন ইতোমধ্যেই ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসউদ পেজেশকিয়ানকে জানিয়েছেন যে, মস্কো তেহরানের পারমাণবিক আলোচনা অগ্রগতিতে সহায়তা করতে প্রস্তুত।

তবে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি বুধবার বলেন, ‘ওয়াশিংটনের প্রস্তাব আমাদের জাতীয় স্বার্থের পরিপন্থি।’ 

তিনি বলেন, ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র ও তেহরানের মধ্যে এখনো গভীর মতপার্থক্য রয়েছে।

এ ঘটনাগুলো থেকে বোঝা যাচ্ছে, একদিকে যেমন ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে উত্তেজনা বেড়েই চলেছে, অন্যদিকে ওয়াশিংটন ও মস্কোর মধ্যে ইরানকে ঘিরে একটি কৌশলগত সমঝোতার সম্ভাবনা দেখা দিচ্ছে যদিও বাস্তবায়নের পথ এখনো কণ্টকাকীর্ণ। 
কমেন্ট বক্স