ঢাকা | ৩০ মে ২০২৫ ইং | বঙ্গাব্দ

ফরিদপুরে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে হত্যা, স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

প্রকাশের তারিখ: মে ২৮, ২০২৫ ইং

ছবির ক্যাপশন:
ad728
বাংলার প্রতিচ্ছবি : ফরিদপুরে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে আসাদ ওরফে বাচ্চু শেখ (৪৩) নামের এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে তাঁকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। আজ বুধবার বেলা একটার দিকে জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক শামীমা পারভীন এ রায় দেন।

রায়ের সময় একমাত্র আসামি আসাদ শেখ কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। রায়ের পর তাঁকে পুলিশি প্রহরায় জেলা কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ অনুযায়ী, ২০২২ সালের জুলাই মাসে ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার ভাটিকান্দি গ্রামের মৃত মতিয়ার শেখের মেয়ে শান্তার সঙ্গে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার কানাই মাতুব্বরের বাড়ি গ্রামের বাসিন্দা ছাত্তার শেখের ছেলে আসাদের বিয়ে হয়। এ দম্পতি ফরিদপুর সদরের অম্বিকাপুর ইউনিয়নের দিরাজতুল্লা মাতুব্বরের ডাঙ্গী গ্রামের ইদ্রিসের অ্যাগ্রো ফার্মে কাজ করতেন। ওই ফার্মে শান্তা ছিলেন শ্রমিক এবং আসাদ ছিলেন সুপারভাইজার। ফার্মের একটি আবাসিক কক্ষে থাকতেন তাঁরা। ২০২২ সালের ২৬ মে বেলা ১১টার দিকে ওই কক্ষ থেকে শান্তার মরদেহ উদ্ধার করে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার পুলিশ। ঘটনার পর তিনি পলাতক ছিলেন।

ঘটনার দুই দিন পর ২০২২ সালের ২৮ অক্টোবর শান্তার মা জরিনা বেগম বাদী হয়ে শান্তার স্বামী আসাদকে আসামি করে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় যৌতুকের দাবিতে নির্যাতন করে হত্যার অভিযোগে একটি মামলা করেন। মামলায় আসাদকে গ্রেপ্তার করা হয়। ২০২৩ সালের ১৬ জুলাই আসাদকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ।

বিচারপ্রক্রিয়া শেষে আজ রায় ঘোষণা করা হলো। এ বিষয়ে ফরিদপুর নারী ও শিশু নিযাতন দমন ট্রাইব্যুনালে রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি গোলাম রব্বানী ভূঁইয়া বলেন, আদালতের এ রায় যুগান্তকারী। এর ফলে সমাজে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রী নির্যাতন ও হত্যার প্রবণতা কমে আসবে। এ রায় দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা ও সমাজের শৃঙ্খলা রক্ষায় সহায়ক হবে।

নিহত শান্তা আসামি আসাদের তৃতীয় স্ত্রী। আসাদের বিরুদ্ধে প্রথম স্ত্রীকেও হত্যার অভিযোগ আছে। এ বিষয়ে রাজবাড়ী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে তাঁর বিরুদ্ধে আরেকটি হত্যা মামলা বিচারাধীন।
কমেন্ট বক্স