বাংলার প্রতিচ্ছবি : নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বামনী উচ্চ বিদ্যালয়ে এসএসসি পরীক্ষাকেন্দ্রে এক পরীক্ষার্থীর উত্তরপত্র ও এমসিকিউ শিট ছিনিয়ে নিয়ে বৃত্তভরাটের অভিযোগ উঠেছে দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এ ঘটনায় দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ইউএনও বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী শানজিদা আফরিন।
এর আগে বৃহস্পতিবার এসএসসি পরীক্ষার প্রথম দিনে বামনী উচ্চ বিদ্যালয়কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। প্রাইভেট না পড়ায় এমন ঘটনা ঘটানো হয়েছে বলে অভিযোগ ওই ছাত্রীর।
অভিযুক্ত সহকারী হল সুপার শাহ কামাল সবুজ বামনী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক ও অপর অভিযুক্ত হল গার্ড নুরুল করিম পেশকারহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।
ভুক্তভোগী পরীক্ষার্থী জানান, এসএসসি পরীক্ষার জন্য বামনী উচ্চ বিদ্যালয়ে টেস্ট পরীক্ষায় তিনি দ্বিতীয় স্থান অর্জন করে। ফরম ফিলাপের পর স্কুলে কোচিং ক্লাসে অংশগ্রহণ ও প্রাইভেট না পড়ায় তার ওপর ক্ষিপ্ত ছিলেন শিক্ষক শাহ কামাল সবুজ। এর জেরে বৃহস্পতিবার বাংলা প্রথমপত্রের পরীক্ষা চলাকালে শিক্ষক সবুজের নির্দেশে হল গার্ড নুরুল করিম পরীক্ষার্থী আফরিনকে দেরিতে প্রশ্নপত্র দেন।
এমসিকিউ শিট দিতেও সময়ক্ষেপণ করেন। এবং সময় শেষ হওয়ার আগেই তার কাছ থেকে উত্তরপত্র ছিনিয়ে নেয়। এর প্রতিবাদ করলে শিক্ষক সবুজ পরীক্ষার্থী আফরিনের এমসিকিউতে ইচ্ছামতো বৃত্ত ভরাট করে উত্তরপত্র জমা দেন। হল রুমের পাশে নিয়ে গালমন্দ ও অপমান করেন।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী বলেন, ‘প্রস্তুতি থাকার পরও দুই শিক্ষকের এ ধরনের কর্মকাণ্ডের ফলে শতভাগ উত্তর দিতে পারেনি। মাত্র ৬৫ শতাংশ উত্তর দিতে পেরেছি।’
নিজের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন শিক্ষক সবুজ। তবে তার বিদ্যালয়ের কতজন পরীক্ষার্থী কোচিং ও প্রাইভেটে অংশগ্রহণ করেছে বা করেনি সে বিষয়ে তিনি কোনো উত্তর দিতে পারেননি।
হল গার্ড নুরুল করিম অভিযোগের বিষয়ে বলেন, ‘পরীক্ষার্থী আফরিন নির্দিষ্ট সময়ের বাইরে অতিরিক্ত সময় চাইলে ওই সময় চেঁচামেচির শব্দ শুনি। ওই সময় আমি শৌচাগারে ছিলাম। কি হয়েছে সেখানে তা আমি জানি না।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তানভীর ফরহাদ শামীম বলেন, ‘অভিযোগ পেয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রের সচিবকে ডাকা হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত করে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’