ঢাকা | ১৫ এপ্রিল ২০২৫ ইং | বঙ্গাব্দ

পিরোজপুরে মাদক নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা মো. বাবুল সরকারের নারীসহ মাদক সেবনের ছবি ভাইরাল

প্রকাশের তারিখ: মার্চ ১২, ২০২৫ ইং

ছবির ক্যাপশন:
ad728
বাংলার প্রতিচ্ছবি: মাদক নির্মূল করার দায়িত্ব যাঁর, তিনিই বার বার জড়িয়ে পড়ছেন মাদকের সঙ্গে। পিরোজপুর মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক কে এক নারীর সঙ্গে মাদক সেবনের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। মঙ্গলবার (১১ মার্চ) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছবিটি ছড়িয়ে পড়ে।

ভাইরাল হওয়া ছবিতে দেখা গেছে, জেলা মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. বাবুল সরকার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সরকারি ভবনের ০৪তলায় তার নিজের বেড রুমে খাটের ওপরে বসে খোলামেলা পোষাকে এক নারীর সঙ্গে ইয়াবা সেবন করছেন।

ওই কর্মকর্তার নাম মো. বাবুল সরকার। তিনি বর্তমানে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর পিরোজপুর জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক। এর আগে তিনি গাজীপুর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরে কর্মরত ছিলেন, সেখানেও তার বিরুদ্ধে একাধিকবার মাদক সেবন, ঘুষ, দুর্নীতিসহ নানা অপরাধের অভিযোগ পাওয়া যায় এবং উক্ত কারণে তাকে গাজীপুর থেকে পিরোজপুর মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরে স্থানান্তর করা হয়। 

কিন্তু তাতেও কোনো পরিবর্তন হয়নি তার, পিরোজপুরের একাধিক মাদক ব্যবসায়ীরা বলছেন, মাদক জব্দ করে তা মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা মো. বাবুল সরকার অনেক সময় নিজের কাছে রেখে দেন। পাশাপাশি অর্থের বিনিময়ে নষ্ট করে ফেলেন মামলায় ব্যবহার করা যায় এমন আলামতও। তাঁর বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসায়ী ও পৃষ্ঠপোষকদের সহযোগিতার অভিযোগও রয়েছে। ছাড়াও তার নিয়োগ সংক্রান্ত প্রক্রিয়া সুস্পষ্ট নয় বলেও জানা যায়।

এ বিষয়ে জানতে মাদক নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা মো. বাবুল সরকারের মোবাইলফোনে একাধিকবার কল করলে তিনি সংযোগ কেটে দেন। খুদে বার্তা পাঠালেও জবাব দেননি তিনি। এমনকি তার কার্যালয়ে গিয়েও পাওয়া যায়নি তাকে।

পিরোজপুর মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক বাপন সেন বাংলার প্রতিচ্ছবি কে বলেন, ‘আপনারা যেমনটি দেখেছেন, আমরাও তেমনই দেখেছি। উনি আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, তাই এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাই না।’

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর প্রধান কার্যালয়ের পরিচালক (অপারেশনস ও গোয়েন্দা) অতিরিক্ত ডিআইজি তানভীর মমতাজের মুঠোফোনে ইয়াবা সেবনের স্থিরচিত্র পাঠানো হলে
তিনি বলেন, ‘ছবিটি কখন, কোথায় তোলা হয়েছিল, সেটি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছি।’ যদি সত্যতা পাওয়া যায়, তবে অবশ্যই তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

পিরোজপুর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আশরাফুল আলম খান বলেন, বিষয়টি এখনও আমার নজরে আসেনি। তবে আমি বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছি, ঘটনার সত্যতা পেলে তাঁর বিরুদ্ধে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কমেন্ট বক্স