বাংলার প্রতিচ্ছবি । বুধবার, ২৬ আগস্ট ২০২৩ । আপডেট ০৮:১৬
ভাষা সৈনিক কয়েস উদ্দিন সরকার আর নেই। জামালপুর শহরে নিজ বাড়িতে বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
মৃত্যুকালে তার বয়স পৌঁছেছিল শতবর্ষের কাছাকাছি।
শুক্রবার রাত ১১টার দিকে শহরের বেলটিয়া ফুলতলায় নিজ বাড়িতে প্রবীণ এই ভাষা সৈনিক মারা যান বলে জানিয়েছেন জামালপুর পৌরসভার মেয়র মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন ছানু।
জামালপুর জেলা শহরের বেলটিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণকারী কয়েস উদ্দিন ভাষা আন্দোলনসহ প্রগতিশীল সব আন্দোলনে যুক্ত ছিলেন। স্থানীয়দের কাছে তিনি ‘কয়েস ভাই’ নামে পরিচিতি ছিলেন।
মেয়র জানান, শনিবার সকাল ১০টায় শহরের ফুলতলায় নিজবাড়িতে কয়েস উদ্দিনের জানাযা শেষে বেলা ১১টায় তার মরদেহ সর্বসাধারণের শ্রদ্ধার জন্য জামালপুর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে রাখা হবে।
চিরকুমার এ ভাষা সৈনিকে চিকিৎসাসহ দেখভাল করতেন স্থানীয় সাংবাদিক ও কবি জাহাঙ্গীর সেলিম। তিনি জানান, শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে কয়েস উদ্দিনের লাশ শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হবে। মেডিকেলের শিক্ষার্থীদের গবেষণার জন্য মৃত্যুর পর মরদেহ দানের ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
ব্রিটিশবিরোধী চেতনায় বিশ্বাসী কয়েস উদ্দিন ব্রিটিশ খেদাও আন্দোলনও করেছেন। তিনি শোষণ, বঞ্চনা, অন্যায়-অবিচার ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে গান রচনা করেন। ভাষা আন্দোলনের উপরে গান লিখে নিজেই গেয়ে বাঙালিদের উদ্বুদ্ধ করতেন। ২১ ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তানিদের গুলিতে রফিক, বরকত, ছালাম শহীদ হলে সারাদেশে আন্দোলন বেগবান হয়। তখন তিনিও জামালপুরের আন্দোলনে ছিলেন।
আইয়ুববিরোধী গান রচনার জন্য কয়েস উদ্দিন আইয়ুব খানের মার্শাল ল’ এর সময় এক বছর জেল খাটেন।
তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোঃ মোজাফফর হোসেন, পৌর মেয়র ছানোয়ার হোসেন।