বাংলার প্রতিচ্ছবি । ১৯ আগষ্ট ২০২৪ !! ২১:১০
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় বহু-নির্বাচনি নির্ভর পদ্ধতি বাদ দিয়ে বুদ্ধিমত্তা-দক্ষতাভিত্তিক (অ্যাপ্টিচ্যুড টেস্ট) ভর্তি পরীক্ষা পদ্ধতির সুপারিশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক। একইসঙ্গে প্রথম বর্ষ থেকে সিট বরাদ্দ, পূর্ণকালীন পিএইচডি প্রোগ্রাম চালু এবং শুধু মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগ থেকে সরে আসাসহ বেশকিছু প্রস্তাব দিয়েছে সংগঠনটি।
সোমবার (১৯ আগস্ট) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মুজাফফর আহমেদ চৌধুরী মিলনায়তনে শিক্ষক নেটওয়ার্ক আয়োজিত ‘কেমন বিশ্ববিদ্যালয় চাই’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় লিখিত বক্তব্যে এসব সুপারিশ করে সংগঠনটি। অনুষ্ঠানের শুরুতে জুলাইয়ে নিহতদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
দীর্ঘ সুপারিশপত্রে পাবলিক-প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ, প্রশাসন, সিলেবাস, গবেষণা, নীতিমালাসহ নানা বিষয়ে সুপারিশ উল্লেখ করা হয়।
সভায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক গীতি আরা নাসরীন, অধ্যাপক কামরুল হাসান মামুন, অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম বলেন, আমাদের কাঠামোর মধ্যে চেক অ্যান্ড ব্যালেন্স করতে হবে, যেন ফ্যাসিজমের প্রভাব বিস্তার করতে না পারে। যেখানে পাকিস্তান এবং ভারতেও জিডিপির ৪ শতাংশ শিক্ষা খাতে ব্যয় করে সেখানে বাংলাদেশে তা ২ শতাংশেরও কম। ৫ বছরের মধ্যে কীভাবে এই বরাদ্দ ৪ শতাংশে নেওয়া যায় তার একটি রূপরেখা করেন।
সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক আনু মুহাম্মাদ বলেন, আমাদের দেশে শিক্ষা, জ্বালানি ও পানিসহ বিভিন্ন খাতে যেসব নীতি প্রণীত হয়, তাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের কোনও সংযোগ নেই। দেশের নীতিমালা প্রণয়ণে যুক্ত করা না হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্দেশ্য বা লাভ কী?
একইসঙ্গে তিনি শিক্ষা, জ্ঞান ও মর্যাদার ভিত্তিতে নিয়োগ, বাজারের চাহিদার সঙ্গে শিক্ষার সমম্বয়, শিক্ষা খাতে জিডিপির ৬ শতাংশ বরাদ্দসহ শিক্ষাসংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে নিজের মতামত তুলে ধরেন।