Saturday, September 21, 2024
Google search engine
Homeদেশখুলনামুজিবনগরে আন্দোলনকারীদের তাণ্ডবের স্বীকার মুক্তিযুদ্ধের ৩০০ ভাস্কর্য

মুজিবনগরে আন্দোলনকারীদের তাণ্ডবের স্বীকার মুক্তিযুদ্ধের ৩০০ ভাস্কর্য

বাংলার প্রতিচ্ছবি । ১৭ আগষ্ট ২০২৪ !! ১৯:৩৬

সৌরভ চ্যাটার্জী: ছাত্র-জনতার প্রবল আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর বিজয় মিছিল থেকে এসে একদল আন্দোলনকারীরা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসগাথা মেহেরপুরের মুজিবনগরের তিনশ ভাস্কর্য ধুলায় লুটিয়ে দিয়েছে। যে ভাস্কর্যগুলো মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের কথা বলত, সেখানে আজ শুধুই ধ্বংসস্তূপ।

মুক্তিযুদ্ধ আর ভাস্কর্যের প্রতি প্রবল ঘৃণা-ক্ষোভ ছাড়া এমন কাণ্ড ঘটানো সম্ভব নয় বলে মুক্তিযোদ্ধারা দাবি করেছেন। তারা এর পেছনে মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত শক্তির ‘হাত’ দেখছেন।

বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী সরকারের শপথ গ্রহণের স্থান মেহেরপুরের ঐতিহাসিক ‘মুজিবনগর স্মৃতি কমপ্লেক্স’। সেখানকার ধংসস্তূপে ভাস্কর্যগুলো ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে। একসময় পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত হওয়া মুজিবনগরের আম্রকানন এখন জনমানবহীন।

ঐতিহাসিক এই ভাস্কর্যগুলি ভেঙে ফেলায় নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করছে অনেকেই। সেই সঙ্গে দ্রুত এই ভাস্কর্যগুলো পুনর্নির্মাণ করে মুজিবনগরের ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

ভাঙচুরের ১০ দিন পর ১৫ অগাস্ট মুজিবনগর স্মৃতি কমপ্লেক্সে গিয়ে আনসার সদস্যদের দেখা গেল। সারাদেশে পুলিশের ওপর হামলাসহ বিভিন্ন সহিংসতার কারণে ভীত-সন্ত্রস্ত থাকায় তারা এতদিন নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন না। বুধবার থেকে তারা আবারও কাজে যোগ দিয়েছেন বলে কথা বলে জানা গেছে।

ঐতিহাসিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ‘মুজিবনগর স্মৃতি কমপ্লেক্স’ আরও তাৎপর্যপূর্ণ করে তোলার জন্য কমপ্লেক্সে একটি বিশাল স্মৃতি মানচিত্রের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন সেক্টরের ঘটনাবলির ভাস্কর্য ও ম্যুরাল স্থাপন করা হয়েছিল।

তার মধ্যে রয়েছে- মুক্তিযুদ্ধের সম্মুখ সমরের চিত্র, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ, মুজিবনগরে প্রথম সরকারের শপথ, গার্ড অব অনার, পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণ চুক্তি, তেলিয়াপাড়ায় সেক্টর কমান্ডারদের গোপন বৈঠক, মুক্তিযোদ্ধা ও নারীদের ওপর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বর্বরতা, যুদ্ধের ক্ষয়ক্ষতি, শরণার্থী হিসেবে দেশত্যাগ এবং সেক্টর অনুযায়ী যুদ্ধ।

এখন সেখানে যতদূর চোখ যায়, শুধুই ধংসস্তূপ। মুখ থুবড়ে পড়ে আছে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের ভাস্কর্য ও ম্যুরাল।

যা ঘটেছিল সেদিন

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ৫ অগাস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের খবর ছড়িয়ে পড়লে হাজারো বিক্ষুব্ধ মানুষ মুজিবনগর স্মৃতি কমপ্লেক্সে হানা দেয়। পরে দেশীয় অস্ত্র, বাঁশ, রড ও হাতুড়ি নিয়ে স্মৃতি কমপ্লেক্সের ভাস্কর্যের ওপর হামলা করে। এক পর্যায়ে ‘মুজিব ভাস্কর্য ভাঙ্গ’- স্লোগান তুলে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালসহ ৩০০টি ছোট-বড় ভাস্কর্য একে একে ভেঙে গুঁড়িয়ে ফেলে। তখন জনআক্রোশের মুখে প্রাণভয়ে পালিয়ে যান নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত আনসার সদস্যরা।

মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের দায়িত্বে থাকা আনসার সদস্যরা জানান, বিক্ষুব্ধ লোকজন প্রথমে কমপ্লেক্সের ফটকে আগুন ধরিয়ে দেয়। এরপর গেইট টপকে ভেতরে ঢুকে আনসার সদস্যদের মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে ফটক খুলে ফেলে। এরপর তারা ভাস্কর্যগুলো ভাঙচুর করে কমপ্লেক্সের ভেতরে লুটপাট চালায়।

মুজিবনগর স্মৃতি কমপ্লেক্সের দায়িত্বে থাকা ১৪ আনসার ব্যাটলিয়নের সুবেদার রবিউল ইসলাম বলছিলেন, “৫ তারিখে হঠাৎ করে আমাদের মেইন গেইটের সামনে হাজার হাজার মানুষ আসে। গেইটে তালা মারা ছিল; তখন যারা নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন তারাও সতর্ক অবস্থানে ছিল। কিন্তু নিরাপত্তা কর্মীরা আমার অনুমতি ছাড়া গেট খুলতে পারছিল না। পরে গেটের সমানে আসা লোকজন আগুন ধরিয়ে ভয়-ভীতি দেখায়; গেইট খুলতে বলে। কিন্তু নিরাপত্তা কর্মীরা দরজা না খেলায় কয়েকজন দরজা টপকে আসে এবং নিরাপত্তা কর্মীদের গলা চেপে ধরে।

“তারা নিরাপত্তা কর্মীদের বলে যে, তোরা গেট খুলবি? যদি আমাদের খুলে নিতে হয়, তাহলে তোদের শেষ করে দিব। এভাবে আধাঘণ্টা তারা হুমকি-ধামকি দেয়। কিন্তু তখনও গেইট খোলেনি। আমি তখন জাদুঘরে আমার রুমেই ছিলাম। এক পর্যায়ে আমি দৌড়ে যাই…. অবস্থা খারাপ দেখে নিরাপত্তা কর্মীদের গেইট ছেড়ে দিতে বলি। পরে আমরা অস্ত্র নিয়ে নিরাপদে চলে যাই।”

রবিউল বলেন, “তারা বিভিন্ন অস্ত্রপাতি নিয়ে ভেতরে আসে… যেহেতু মূর্তিগুলো ওপেনই ছিল এগুলো তারা ভাঙচুর করে। তবে জাদুঘর, অডিটরিয়াম আর বিআরটিসির দুটা বাস রক্ষা করতে পেরেছি। হামলাকারীরা বারে বারে আমাদের ওপরে চড়াও হয়ে আসছিল মারার জন্য। পরে আমার নিরাপত্তা কর্মীরা ইউনিফর্ম পরে এগিয়ে গেলে তারা দ্রুত চলে যায়।”

তিনি বলেন, “১৯৭১ সালের ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে তর্জনী উঁচিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ভাষণের ভাস্কর্যটির মাথা ও হাত ভেঙে ফেলা হয়েছে। ১৯৭১ সালে নিরস্ত্র বাঙালিদের ওপর পাকিস্তানি বাহিনীর গণহত্যার ভাস্কর্যটিও ভেঙে ফেলা হয়েছে।

“এ ছাড়া কমপ্লেক্সের মধ্যে দেশের মানচিত্রের আদলে তৈরি করা মুক্তিযুদ্ধের ১১টি সেক্টরে যুদ্ধের বর্ণনা সংবলিত ছোট ভাস্কর্যগুলো ভেঙে আশপাশে ছুড়ে ফেলা হয়েছে। রক্ষা পায়নি ঢাকা মেডিকেলের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর, রাজারবাগ পুলিশ লাইন, পিলখানা, হার্ডিং ব্রিজ, জগন্নাথ হলের আদলে তৈরি ভাস্কর্যও।”

সুবেদার রবিউল বলেন, “অতি উৎসাহী এই লোকগুলো মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন স্মৃতি ভাঙচুর করলেও পাকিস্তানের সেনাদের যে ম্যুরালগুলো আছে সেগুলো ভাঙেনি। মুজিবনগর কমপ্লেক্স স্বাধীনতার ঐতিহ্য ও প্রতীক। এটা দেশের সম্পদ। এখানে এমন ধংসযোগ্য কোনোভাবেই কাম্য নয়।”

এখন নিরাপত্তা পরিস্থিতি কেমন প্রশ্নের জবাবে সুবেদার রবিউল ইসলাম বলেন, “এখন নিরাপত্তা আগের চাইতে বেশি আছে। আমি নিজেও রাতে-দিনে বেশ সজাগ থাকছি। নিরাপত্তার কোনো ঘাটতি নেই।”

মুজিবনগর কমপ্লেক্সের তত্ত্বাবধায়ক সুভাষ মল্লিক বলেন, “৫ অগাস্ট একদল দুর্বৃত্ত আসলো, গেইট ভাঙল। তখন ইউএনও, থানায় ফোন করা হলো কিন্তু কেউ ধরলো না। হামলাকারীরা ভাস্কর্য ভেঙে তারপর লুটপাট করে নিয়ে গেছে।”

স্থানীয়দের অভিযোগ, এই সহিংসতা চালানোর সময় ১০০ গজ দূরত্বের মধ্যে থাকা পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস, আনসার, উপজেলা প্রশাসনের কেউ এগুলো রক্ষায় এগিয়ে যায়নি। তাদের মোবাইল ফোনে বারবার জানানো হলেও কেউ সাড়া দেননি।

যেভাবে গড়ে উঠে মুজিবনগর

ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস ১৭ এপ্রিল। ১৯৭১ সালের এই দিনে মেহেরপুরের বৈদ্যনাথতলা (বর্তমান মুজিবনগর) বাংলাদেশের প্রথম সরকার শপথ গ্রহণ করে। আর সেই ইতিহাসকে জীবন্ত করতে নির্মাণ করা হয়েছে শত শত ভাস্কর্য ও ম্যুরাল। যা দিয়ে পুরো মুক্তিযুদ্ধ যে কারো চোখের সামনে ধরা দেয়।

১৯৮৭ সালে এইচ এম এরশাদ সরকারের আমলে মুজিবনগর স্মৃতি কমপ্লেক্সের কাজ শুরু হয়। সাড়ে ৫০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ২০১২ সালে এর কাজ শেষ হয়। আওয়ামী লীগ সরকার পরবর্তীতে স্থানটি সম্প্রসারিত করে, মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি কমপ্লেক্স প্রতিষ্ঠা করে এবং সেখানে ম্যুরাল ও ভাস্কর্যের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হয়।

মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক দেশের সর্ববৃহৎ ও একমাত্র দর্শনীয় স্থান মুজিবনগরের ঐতিহাসিক গুরুত্বকে জাতির কাছে তুলে ধরতে এখানে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক প্রায় সাড়ে ৫০০ ভাস্কর্য নির্মাণ করে দেশের মুক্তিযুদ্ধকে জীবন্ত করে তুলে ধরা হয়েছিল।

১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল নয় মাসের স্বাধীনতাযুদ্ধকে পরিচালনার জন্য দেশের প্রথম সরকারের শপথ ও সেই সরকারকে গার্ড অব অনার অনুষ্ঠানসহ স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ এবং মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক নিযুক্ত হয়েছিল এই ঐতিহাসিক অনুষ্ঠানে।

মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. খায়রুল ইসলাম বলেন, “প্রতিদিন কয়েক হাজার দর্শনার্থী এখানে আসতেন মুজিবনগর তথা মুক্তিযুদ্ধকে জীবন্ত দেখার জন্য। এই কমপ্লেক্সের সব ভাস্কর্য ভেঙে দেওয়ায় এর প্রভাব পড়েছে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের ওপর।”

মেহেরপুর জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার আব্দুল মালেক বলেন, “মুজিবনগর স্মৃতি মানচিত্রের ভাস্কর্যগুলো যারা ভেঙেছে তারা খুবই ঘৃণিত ও অন্যায় কাজ করেছে। মুজিবনগরের ঐতিহাসিক অবদান আমাদের স্বাধীনতা, জাতীয় পতাকা, সার্বভৌমত্ব সবই দিয়েছে।

“দুষ্কৃতকারীরা মুজিবনগর গিয়ে মুক্তিযুদ্ধের সব ভাস্কর্য ভেঙে ফেলেছে। অথচ পাকিস্তানি বাহিনীর ধংসষজ্ঞের কিছু ভাস্কর্য না ভেঙে হামলাকারীরা তাদের পরিচয় দিয়ে গেছেন। মুক্তিযুদ্ধের প্রতি প্রবল ক্ষোভ না থাকলে কেউ এটা করতে পারে না। এটা তারাই করেছে।”

যা বলছেন দর্শনাথী ও স্থানীয়রা

চুয়াডাঙ্গা দামুড়হুদার কলেজ ছাত্রী সুমাইয়া শারমিন বলেন, “এই ধংসস্তূপ দেখে খুবই খারাপ লাগছে। কান্না পাচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধ দেখিনি তাই কদিন আগেও এসেছিলাম মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিকে জীবন্ত করে তোলা মুজিবনগরে। কিন্তু আজ এসে দেখলাম, সেই ভাস্কর্যগুলোর সবই মৃত।”

পেশায় ব্যবসায়ী কুষ্টিয়া খলিসাকুণ্ড এলাকার আবু আক্তার মুজিবনগর দেখতে এসে ভাঙচুরের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন। তিনি দ্রুত মুজিবনগরের ধংসষজ্ঞ সরিয়ে আবারও সবকিছু ঠিকঠাক করার দাবি জানান।

আবু আক্তার বললেন, “স্বাধীনতার স্মৃতিকে এভাবে ভেঙে শেষ করে দেওয়া মানুষগুলো কোন দেশের জানি না। তবে একটি দেশের জাতিসত্তা ও স্বাধীনতার স্মৃতিকে এভাবে ধ্বংস করা মোটেও ঠিক হয়নি। দ্রুত আবারও সবকিছু ঠিকঠাক করার দাবি জানাই।”

অরণি নাট্যগোষ্ঠীর সভাপতি নিশান সাবের বলেন, “যে ভাস্কর্য ও মানচিত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, এটা দুঃখজনক। মুজিবনগরের ভাস্কর্যগুলো ইতিহাসের ধারাবাহিকতা এটা সৌন্দর্য বর্ধনের কোনো বিষয় ছিল না।

“মানচিত্রে যে ছোট ছোট ভাস্কর্যগুলো ছিল, সেগুলো বাংলাদেশের কোথায় কোথায় সর্ববৃহৎ যুদ্ধ হয়েছে, কীভাবে ব্রিজ কালভার্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং যুদ্ধ চলাকালীন কোন কোন অঞ্চলে যুদ্ধ ছড়িয়েছিল তার কিছু ইতিহাস লিপিবদ্ধ ছিল।”

“যারা ভেঙেছে বা যাদের নির্দেশে এগুলো ভাঙা হয়েছে আমার মনে হয়েছে, তারা ইতিহাসটাই মুছে ফেলতে চেয়েছে”, যোগ করেন তিনি।

মুজিবনগর উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য মো. শাওন বলেন, “মুজিবনগরে ভাস্কর্যগুলো ভঙচুরের ঘটনা আমাদের সবার জন্য লজ্জার। এটা সংরক্ষণ করতে না পারাও আমাদের ব্যর্থতা। আমরা এ ঘটনার নিন্দা জানাই।”

এ সময় কিছু ছাত্র-ছাত্রীকে মুজিবনগরের ধংসস্তূপকে সরিয়ে পরিষ্কার করে সেখানে রং-তুলি দিয়ে আঁকতে দেখা যায়। এ কাজে অংশগ্রহণকারী রাতুল শেখ বলেন, “আমাদের ক্ষতি আমরাই পুষিয়ে দিতে মুজিবনগরে ছুটে এসেছি।”

সেদিন সহিংসতার খবর পেয়েও কেন ঘটনাস্থলে যাননি জানতে চাইলে মুজিবনগর ফায়ার সার্ভিসের এক কর্মকর্তা বলেন, ওই সময়ের জনগণের যে রুদ্রমূর্তি ছিল, তারা সেখানে গেলে ক্ষতিগ্রস্ত হতেন। পাশাপাশি তাদের সেখানে না যাওয়ার নির্দেশনাও ছিল।

মুজিবনগর থানার ওসি সাইফুল ইসলাম বলেন, “ঘটনার দিন পরিস্থিতি অনিরাপদ থাকায় পুলিশ বাইরে বের হয়ে মুজিবনগরকে হামলার হাত থেকে রক্ষ করতে পারেনি সত্য। তবে এখন কেউ মামলা দিলে পুলিশ হামলাকারীদের খুঁজে বের করে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেবে।”

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments