বাংলার প্রতিচ্ছবি । ১৫ আগষ্ট ২০২৪ !! ১২:৫৯
রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়কে কাউকে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। আশপাশের এলাকায় মারধর করতে দেখা গেছে।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত এই চিত্র দেখা যায়।
ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়কের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘরের আশপাশের এলাকায় অনেক মানুষ লাঠি, বাঁশ, পাইপ নিয়ে অবস্থান করছেন।
সরেজমিন দেখা যায়, এই এলাকায় কেউ এলেই তাঁদের থামিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। কোথায় যাচ্ছেন, কেন এসেছেন, তা জানতে চাওয়া হচ্ছে। এমনকি পরিচয়পত্র, মুঠোফোন দেখা হচ্ছে। ৩২ নম্বর সড়কে কাউকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।
এই এলাকায় কখনো কাউকে কাউকে ধাওয়া দিতে দেখা গেছে। জটলা পাকিয়ে কাউকে মারধর করতেও দেখা গেছে।
ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়কে কাউকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।
ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়ক-সংলগ্ন ট্রাফিক মোড়ে ভাঙচুর করা একটি গাড়ি পড়ে থাকতে দেখা যায়।
এলাকাটিতে অবস্থানকারী চার ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তাঁরা গতকাল বুধবার রাত থেকে এখানে আছেন। তাঁরা কাউকে স্মৃতি জাদুঘরের দিকে যেতে দিচ্ছেন না।
ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়কের আশপাশের এলাকায় অনেক মানুষ লাঠিসোঁটা নিয়ে অবস্থান করছেন
আজ ১৫ আগস্ট, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী। ১৯৭৫ সালের এই দিনে একদল বিপথগামী সেনাসদস্য ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়কের এই বাড়িতেই বঙ্গবন্ধুকে নির্মমভাবে সপরিবার হত্যা করেন।
আওয়ামী লীগ সরকারের গত প্রায় ১৫ বছরের শাসনকালে প্রতিবছর ১৫ আগস্ট বহু মানুষ ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে আসতেন বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটে। শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে ভারতে চলে যান। এদিন ৩২ নম্বরের এই বাড়িতে আগুন দেওয়া হয়।
আওয়ামী লীগ ও দলটির সহযোগীরা ১৫ আগস্টে ‘পাল্টা অভ্যুত্থানের’ চেষ্টা করতে পারেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কেরা বলেছেন, কেউ এ ধরনের কোনো চেষ্টা করলে প্রতিহত করা হবে। আজ সবাইকে রাজপথে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন তাঁরা।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একজন কেন্দ্রীয় নেতার সাথে কথা বলে জানা যায় যে, “বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের এই ধরনের কোন অভ্যুত্থান ঘটানোর কোন ইচ্ছা নেই। দল এখন পূনর্গঠন নিয়ে আওয়ামী লীগ ব্যস্ত। তদুপরি দলের বিরুদ্ধে অনেক ষড়যন্ত্র চলছে। বরং তথাকথিত সাধারণ ছাত্ররা প্রতি বিপ্লবের ধোঁয়া উঠিয়ে পরিকল্পিত ভাবে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শান্তিপূর্ণ শ্রদ্ধা নিবেদন অনুষ্ঠান নস্যাৎ করলো তার জন্য আমরা তীব্র নিন্দা জানাই। তারা সরকার গঠন করেছে। সরকার তো এখন তাদের পক্ষেই। তাহলে কেন তাদের চার দফা দাবিতে রাজপথে দাঁড়াতে হবে? এর মানে হলো, হয় উপদেষ্টারা তাদের সাথে বেইমানি করেছে নয়তো ১৫ ও ২১ আগষ্টের অনুষ্ঠান নস্যাৎ করার ষড়যন্ত্র হিসেবে তারা এই দাবি নিয়ে রাজপথ দখলের অভিনয় করে আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের নির্যাতনের পথ তৈরি করেছে। যার প্রমাণ আজ ধানমন্ডি ৩২ নাম্বার বাড়িতে শ্রদ্ধা জানাতে আসা নেতা কর্মীদের সাথে অনেক সাধারণ মানুষকে ব্যাপক নির্যাতন করা হয়েছে। অনেককে নির্যাতনের পরে গুরুতর আহত অবস্থায় পুলিশে শোপর্দ করা হয়েছে। এবং তাদের নামে মিথ্যা হত্যা মামলার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
আমার বিশ্বাস জনগণ এই ষড়যন্ত্র নিশ্চয়ই বুঝতে পারবে। এবং খুব শীঘ্রই তাদের এইসব ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে রুখে দাড়াবে।”