বাংলার প্রতিচ্ছবি । ০৭ আগষ্ট ২০২৪ !! ১৪:৪৫
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর দ্বিতীয় দিনে এসে আজ বুধবার (৭ আগস্ট) সচিবালয়ের পরিবেশ কিছুটা শান্ত হয়েছে। গতকালের মতো উত্তেজনা-অস্থিরতা না থাকলেও মন্ত্রণালয়ের দফতরগুলোতে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতি আজ আরও কমেছে। নিরাপত্তা রক্ষায় দায়িত্ব পালন করছেন সেনা সদস্যরা।
সকালে সচিবালয়ের বিভিন্ন দফতর ঘুরে দেখা গেছে, সচিবালয়ের অভ্যর্থনা কেন্দ্র বন্ধ রয়েছে। অন্য সব গেট বন্ধ রেখে শুধু দুই নম্বর গেটটি খোলা রাখা হয়েছে। সচিবালয়ে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। তবে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিবরা নিজ দফতরে অনুপস্থিত রয়েছেন। আর অন্য কর্মকর্তা-কর্মচারী যারা এসেছেন, তারাও নিজেদের মধ্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নিয়ে আলাপ করেই সময় কাটাচ্ছেন। তাদের প্রায় অধিকাংশের আলোচনায় এই সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে কে কে আসতে পারেন, কে কোন দফতর পেতে পারেন; এসব বিষয় প্রাধান্য পাচ্ছে।
এর আগে গত রবিবার (৪ আগস্ট) সোমবার থেকে তিন দিনের সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছিল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। পরের দিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের মধ্য দিয়ে সরকার পতন হলে সাধারণ ছুটি বাতিল করা হয়। গতকাল মঙ্গলবার থেকেই বাংলাদেশের সব সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধা স্বায়ত্তশাসিত, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, কলকারখানা, স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা, বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়।
নির্দেশনা অনুযায়ী গতকাল সচিবালয় খুললেও দেখা যায় অস্থিরতা। পাশে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দেওয়া আগুন কালও জ্বলতে থাকে। সেখান থেকে ধোঁয়া ও গন্ধ পাওয়া যায় সচিবালয় থেকে। ফলে অজানা আশঙ্কা থেকে সচিবালয়ের বেশিরভাগ কর্মকর্তা-কর্মচারী দুপুরের মধ্যেই দফতর ত্যাগ করেন। তবে এর আগেই শোকাবহ আগস্ট মাসকে কেন্দ্র করে টানানো ব্যানার-ফেস্টুন সরিয়ে ফেলা হয়। বিভিন্ন দফতর থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবিও সরিয়ে ফেলা হয়েছে। সরানো হয় মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের নামের ফলকও।
আজ দ্বিতীয় দিনেও সচিবালয় অনেকটাই ফাঁকা। যারা এসেছেন তাদের অনেকে এরই মধ্যে দফতর থেকে বেরিয়েও গেছেন।