বাংলার প্রতিচ্ছবি । ০৮ আগষ্ট ২০২৪ !! ২০:৪০
১১ দফা দাবিতে বাংলাদেশ পুলিশের বৈষম্যবিরোধী কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটির ডাকা কর্মবিরতির অংশ হিসেবে বিক্ষোভ করেছে গাইবান্ধা ও সিরাজগঞ্জের অধস্তন পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্যরা।
বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে সিরাজগঞ্জ পুলিশ লাইন্সের রিজার্ভ অফিসের সামনে দাবি আদায়ে ও দোষী পুলিশ সদস্যদের শাস্তির দাবিতে এ বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে তারা।
বিক্ষোভ ও কর্মবিরতির কর্মসূচিতে উপস্থিত পুলিশ সদস্যরা বিগত ১৫ বছরে অধস্তন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বিসিএস পুলিশ অফিসারদের বিভিন্ন অন্যায়ের কথা তুলে ধরে তাদের শাস্তি দাবি করেন। একই সঙ্গে পুলিশ সদস্যদের জীবনের নিরাপত্তার দাবি জানিয়ে তারা বলেন, ১১ দফা দাবি না মানা পর্যন্ত কর্মে ফিরবেন না তারা।
বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ পুলিশ গঠনের ১১ দফার মধ্যে উল্লেখযোগ্য দাবিগুলো হলো- স্বাধীন কমিশন গঠন, পুলিশ বাহিনীকে সংস্কার করে দলীয় প্রভাব মুক্ত ও জনগণের কল্যাণে নিয়োজিত করতে হবে। আমরা যে রংয়ের ইউনিফর্ম পরিধান করে কলঙ্কিত হয়েছি সেই পোশাকের রং পরিবর্তন করে কনস্টেবল থেকে আইজিপি পর্যন্ত একই ড্রেসকোড হতে হবে এবং চলমান সংহিসতায় পুলিশ সদস্য আহত ও নিহতের পরিবারকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করতে হবে, যারা দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে জানমালের নিরাপত্তা জন্য আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করেছেন তাদের বিরুদ্ধে কোন প্রকারের বিভাগীয় ব্যবস্থা অথবা হয়রানি করা যাবে না। সব পুলিশ সদস্যদের অন্যান্য সংস্থার চাকরির মতো শ্রম আইন অনুযায়ী ৮ কর্মঘণ্টা নিশ্চিত করতে হবে। রাষ্ট্রের প্রয়োজনে যদি ৮ ঘণ্টার বেশি দায়িত্ব পালন করতে হয় তাহলে ওভার টাইম হিসেবে গণ্য করতে হবে।
এ সময় সিরাজগঞ্জ সদর থানার এসআই শাহিন মাহমুদ, এসআই ইয়ামিন, এসআই মো. জসিম, এসআই রাসেলসহ প্রায় শতাধিক পুলিশ সদস্য উপস্থিত ছিলেন। এর আগে সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানার ১৫ পুলিশ সদস্যসহ সারা দেশে নিহত পুলিশ সদস্যদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
অপর দিকে বুধবার রাত ৯টায় গাইবান্ধা জেলা পুলিশ লাইনসে ১১ দফা দাবিতে বিক্ষোভ করেন পুলিশ লাইনসে কর্মরত পুলিশের অধস্তন সদস্যরা।
এর আগে এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সদস্য হত্যার বিচার, ৮ ঘণ্টা ডিউটি, ছুটি বৃদ্ধি, সোর্স মানি প্রদান, ঝুঁকি ভাতা, নিজ রেঞ্জে বদলিসহ ১১ দফা দাবি তুলে ধরেন তারা।
সংবাদ সম্মেলনে অধস্তন পুলিশ সদস্যদের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইবনে মিজান। এ সময় পুলিশ সুপার মো. কামাল হোসেনসহ জেলার ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলন থেকে বলা হয়, তাদের এ দাবি দাওয়া পূরণ না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন অধস্তন পুলিশ কর্মকর্তারা।