বাংলার প্রতিচ্ছবি । ০৬ আগষ্ট ২০২৪ !! ২১:০১
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে ভারতে চলে যাওয়ার পর দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছে। এমন অবস্থায় মঙ্গলবার বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে (বিসিবি) উপস্থিত হয়েছিলেন বেশ কয়েকজন ক্লাব কর্মকর্তা। তাদের দাবি, যোগ্য সংগঠকদের দিয়ে বিসিবি চালাতে হবে।
মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে বিসিবির কার্যালয়ের সামনে জড়ো হওয়া এই ক্রিকেট সংগঠকদের দাবি ছিল, আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে এত দিন বিসিবিতে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতি হয়েছে। এসবের সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের শাস্তি দিতে হবে।
সকালে বিসিবি কার্যালয়ে অনেকের সঙ্গে উপস্থিত হন বিসিবির সাবেক পরিচালক ও গ্র্যাউন্ডস কমিটির চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম বাবু। এ সময় উপস্থিত ছিলেন মোহামেডানের কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম টিটু, ক্রিকেটার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (কোয়াবের) সাধারণ সম্পাদক দেবব্রত পাল, পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাবের কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেন, লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের কর্মকর্তা সাব্বির আহমেদ, প্রাইম দোলেশ্বরের যুগ্ম-সম্পাদক মুশতাক হোসেনসহ জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার শাহাদাত হোসেন, বিসিবির সাবেক দুই কাউন্সিলর জিয়াউর রহমান ও বোরহান উদ্দিনসহ আরও অনেকে।
বিসিবির প্রেসিডেন্ট নাজমুল হাসান পাপনের অনুপস্থিতিতে ক্রিকেটের সকল বিষয় পরিচালনার বিষয়ে উদ্বেগ জানান তারা। একই সঙ্গে বোর্ডের পরিচালকরাও এই সময়ে বিসিবিতে ছিলেন না। তাদের অনুপস্থিতিতেও বিসিবির বিভিন্ন বিভাগের কাজ কীভাবে চলবে তা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করতে দেখা যায় তাদের। বিসিবিতে স্বজনপ্রীতি বা অনিয়মের বিষয়টি তুলে রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘যদি ভবিষ্যতে স্বজনপ্রীতি বা অনিয়ম বিসিবিতে হয়ে থাকে তাহলে এর সঠিক তদন্ত হবে। তবে এখন বিসিবির যত কার্যক্রম আছে তা ঠিক ভাবে চলবে, বিসিবি যথাযথ ভাবে চলবে, বিসিবির কর্মচারীরা নির্ভয়ে কাজ করবেন। এখানে কোন কিছু হতে দেওয়া হবে না।’
রফিকুল ইসলাম আরও বলেন, ‘২০১২ সালের পর আবার বিসিবিতে এসেছি। এসেছিলাম বিসিবির প্রধান নির্বাহীর সঙ্গে কথা বলতে। কিন্তু তাকে পাইনি। আমাদের দাবি, বিসিবি থেকে অযোগ্য সংগঠকদের সরিয়ে এখানে যোগ্য ক্রিকেট সংগঠকদের নিয়ে আসতে হবে।’
এই সময়ে বোর্ডে উপস্থিত ছিলেন বিসিবির ডেভেলপমেন্ট প্রধান মিনহাজুল আবেদীন নান্নু, নারী বিভাগের প্রধান হাবিবুল বাশার ও ক্রিকেট অপারেশন্সের ম্যানেজার শাহরীয়ার নাফিস ও ক্রিকেটার নুরুল হাসান সোহান। তাদের নিয়ে বিসিবির মূল সভাকক্ষে আলোচনায় বসেন রফিকুল ইসলাম বাবু। মিনহাজুল সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিসিবিতে সুশাসন প্রতিষ্ঠা হোক।’ আর হাবিবুলের কথা, ‘সুদিনের আশা করছি।’