Sunday, September 22, 2024
Google search engine
Homeপ্রধান সংবাদব্যবসায়ীদের ‘অতি লোভ’ দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণ : ক্যাব সভাপতি

ব্যবসায়ীদের ‘অতি লোভ’ দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণ : ক্যাব সভাপতি

বাংলার প্রতিচ্ছবি । ৩১ আগস্ট ২০২৩ । ১৫:৫৮

বাজারে দ্রব্যমূল্য বেড়ে যাওয়ার জন্য ব্যবসায়ীদের ‘অতি লোভ’কে দায়ী করছেন ভোক্তা সংগঠন কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান।

তিনি বলেছেন, “ব্যবসায়ীরা এখন কম লাভে সন্তুষ্টি পাচ্ছে না। ব্যবসায়ীদের অতি মুনাফা, অতি লোভ বাজার দরের বৃদ্ধির কারণ।”

বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনে (বিএফডিসি) ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণে বাজার মনিটরিং নিয়ে এক ছায়া সংসদে একথা বলেন ক্যাব সভাপতি।

বর্তমান বাজার পরিস্থিতি নিয়ে তিনি বলেন, “দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি আমাদের জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলছে। বিশেষ করে নিম্নবিত্ত কিংবা মধ্যবিত্ত মানুষ কিভাবে যে জীবনধারণ করছে, সেটা কল্পনা করা যায় না।”

অনুষ্ঠানের সহ আয়োজক ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, “দেশের সাধারণ মানুষের কাছে সিন্ডিকেট এক আতঙ্কের নাম। মাঝে মাঝে মনে হয় এই সিন্ডিকেটের কাছে শুধু ক্রেতা সাধারণ নয়, সরকারও জিম্মি হয়ে পড়ছে।”

গোলাম রহমান বলেন, “সরকার বলছে ‘সিন্ডিকেট নাই’। কিন্তু কয়েকজন ব্যবসায়ী মিলে বাজার নিয়ন্ত্রণ করলে সেটা কি সিন্ডিকেট নয়?”

সরকারের নীতি-নির্ধারণী পর্যায়ে ব্যবসায়ীদের শক্ত অবস্থানের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, “ক্যাবিনেটে ৬২ শতাংশই ব্যবসায়ী।”

সংসদ ও সরকারের মধ্যে রাজনীতিবিদদের তুলনায় ব্যবসায়ীদের প্রাধান্য থাকলেও নীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন, তাদারকিতে তার প্রতিফলন নেই বলে মন্তব্য করেন ক্যাব সভাপতি।

“দাতাদের পরামর্শে বাংলাদেশ ব্যাংক সুদের হার ও মুদ্রা বিনিময় হার নির্ধারণ করলেও মূল্যস্ফীতি বেড়েই চলেছে। মূল্যস্ফীতির লাগাম টানতে সরকারকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। ভোক্তাদের কেবল বাজার মনিটরিংয়ের মাধ্যমে স্বস্তি দেওয়া সম্ভব নয়।”

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি’র আয়োজনে প্রতিযোগিতাটিতে বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান।

‘কেবল বাজার মনিটরিংয়ের মাধ্যমে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ সম্ভব নয়’ শীর্ষক ছায়া সংসদে সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটির বিতার্কিকদের পরাজিত করে ঢাকা মেডিকেল কলেজের বিতার্কিকরা বিজয়ী হন।

প্রতিযোগিতায় বিচারক ছিলেন সাংবাদিক মাঈনুল আলম, আবুল কাশেম, কাবেরী মৈত্রেয় ও শাহ আলম খান। প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ী দলকে ট্রফি ও সনদ দেওয়া হয়।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments