Saturday, September 21, 2024
Google search engine
Homeআন্তর্জাতিকবাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের বিবৃতি

বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের বিবৃতি

কোটা সংস্কার আন্দোলন ও প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছাড়ার পর ছাত্র-জনতার আন্দোলনের বেশ কিছু ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে বাংলাদেশের ঘটনা নিয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ।

বিবৃতিতে বলা হয়, প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে সোশ্যাল মিডিয়ায় কিছু পোস্ট এবং ভিডিও আমাদের নজরে এসেছে যা বিভেদ এবং অশান্তি তৈরি করতে পারে। অনুরোধ, কোনো রকম গুজবে কান দেবেন না, উত্তেজক ভিডিও শেয়ার করবেন না। রাজ্য প্রশাসন সতর্ক এবং সজাগ রয়েছে। কোনো প্ররোচনায় পা দেবেন না। শান্ত থাকুন, শান্তি বজায় রাখুন।

এতে আরও বলা হয়, দর্শকদের অনুরোধ, এ ধরনের কভারেজ দেখার সময় নিজস্ব বিচারবিবেচনা প্রয়োগ করুন এবং মাথায় রাখুন যে, চ্যানেলের দেখানো ফুটেজের সত্যতা কিন্তু কোনো নিরপেক্ষ তৃতীয় সংস্থা দিয়ে যাচাই করা নয়। একতরফা বিদ্বেষমূলক এবং বিভ্রান্তিকর প্রচারের ফাঁদে পা দেবেন না। শান্ত থাকুন, শান্তি বজায় রাখুন।

পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে পতন ঘটেছে সরকারের। সোমবার শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছেড়েছেন। এরপরই উল্লাসে ফেটে পড়েন সবাই। এই উল্লাসের মধ্যেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আসতে থাকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলাসহ মন্দির-বসতবাড়ি ভাঙচুরসহ লুটপাটের ঘটনা।

সরকারের পদত্যাগের খবর ছড়িয়ে পড়ার পর সোমবার দেশের বিভিন্ন স্থানে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বাড়ি, উপাসনালয় ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে নাটোর, ঢাকার ধামরাই, পটুয়াখালীর কলাপাড়া, শরীয়তপুর ও ফরিদপুরে হিন্দুদের মন্দিরে এবং যশোর, নোয়াখালী, মেহেরপুর, চাঁদপুর ও খুলনায় বাড়িঘরে হামলা করা হয়েছে। দিনাজপুরে হিন্দুদের ৪০টি দোকান ভাঙচুর করা হয়। এ ছাড়া রংপুরের তারাগঞ্জে আহমদিয়াদের উপাসনালয়ে হামলা ও ভাঙচুর করা হয়।

হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের তথ্য অনুযায়ী, শেরপুরে শ্রীবর্দী উপজেলা যুব ঐক্য পরিষদের সভাপতির বাসায় হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। খুলনায় রূপসা থানার হাইসগাতী গ্রামের শ্যামল কুমার দাস ও স্বজন কুমার দাসের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়। একই জেলার ঐক্য পরিষদের সভাপতি বিমান বিহারী অমিত, যুব ঐক্য পরিষদের সভাপতি অনিমেষ সরকার রিন্টুর বাড়ি, দাকোপের বানিসাত্তার আমতলীতে ইউপি সদস্য জয়ন্ত গাইনের বাড়ি, কয়রার দাসপাড়ায় হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।

তবে এসব ঘটনা যেমন ঘটেছে, বিপরীতে সোশ্যাল মিডিয়ায় এসব ঘটনার বিপরীতে ছড়িয়েছে ভুল তথ্য গুজবও।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments