Sunday, September 22, 2024
Google search engine
Homeদেশদেশে বেড়েছে বেকার তরুণের সংখ্যা

দেশে বেড়েছে বেকার তরুণের সংখ্যা

দেশে বেকার জনগোষ্ঠীর সংখ্যা বেড়েছে। চলতি বছরের জুন শেষে শ্রমশক্তির ২৬ লাখ ৪০ হাজার মানুষ বেকার ছিলেন। এই সংখ্যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১ লাখ ৪০ হাজার বেশি। কাজে নেই এমন তরুণদের সংখ্যাও এ সময় বেড়েছে। জুন শেষে দেশে বেকারত্বের হার বেড়ে হয়েছে ৩ দশমিক ৬৫ শতাংশ।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) ২০২৪ সালের জুন মাসের ত্রৈমাসিক শ্রমশক্তি জরিপে এ তথ্য পাওয়া গেছে। ওই জরিপের প্রতিবেদন সদ্য প্রকাশিত হয়েছে।

বিবিএসের জরিপে বলা হয়েছে, বেকার জনগোষ্ঠী মূলত তাঁরাই, যারা বিগত সাত দিন সময়ে এক ঘণ্টাও কোনো কাজ করেননি কিন্তু কাজ করার জন্য প্রস্তুত ছিলেন এবং বিগত ৩০ দিনে বেতন বা মজুরি অথবা মুনাফার বিনিময়ে কোনো না কোনো কাজ খুঁজেছেন।

বিবিএসের জরিপে দেখা গেছে, দেশের যুব কর্মশক্তি আগের তুলনায় বেশি সংখ্যায় কাজের বাইরে চলে গেছে। অর্থাৎ ১৫ থেকে ২৯ বছর বয়সী তরুণ–তরুণীদের মধ্যে বেকারের সংখ্যা বেড়েছে। গত বছরের জুন মাস শেষে যুব কর্মশক্তির মধ্যে ২ কোটি ৭১ লাখ ২০ হাজার জন কাজে নিয়োজিত ছিলেন। এক বছর পর এই সংখ্যা এসে দাঁড়িয়েছে ২ কোটি ৫৩ লাখ ৪০ হাজারে।

যুব কর্মশক্তির মধ্যে কাজে নিয়োজিত পুরুষ ও নারী উভয়ের সংখ্যাই কমেছে। বর্তমানে ১ কোটি ২৭ লাখ ৭০ হাজার তরুণ এবং ১ কোটি ২৫ লাখ ৭০ হাজার তরুণী কাজে নিয়োজিত আছেন। এ ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে যে কাজে নিয়োজিত তরুণ ও তরুণীদের সংখ্যা প্রায় সমান।

বেকার জনগোষ্ঠীর হিসাব দিয়ে জরিপে বলা হয়েছে, পুরুষদের মধ্যে বেকারের সংখ্যা বেশি। এক বছর আগের তুলনায় গত জুনে বেকারের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৮ লাখ ৫০ হাজার, যা গত বছরের জুনে ছিল ১৬ লাখ ৭০ হাজার। নারীদের মধ্যে বেকারের সংখ্যা বরং কমেছে। গত বছরের জুনে ৮ লাখ ৩০ হাজার নারী বেকার ছিলেন। চলতি জুনে এ সংখ্যা হয়েছে ৭ লাখ ৯০ হাজার জন।

নারীদের মধ্যে বেকারত্বের হারও কমেছে। গত বছরের জুনে ৩ দশমিক ৩২ শতাংশ নারী বেকার ছিলেন। চলতি বছরের জুনে এই হার কমে হয়েছে ৩ দশমিক ২৬ শতাংশ। বিপরীতে পুরুষদের মধ্যে বেকারত্ব বেড়ে চলতি জুনে হয়েছে ৩ দশমিক ৮৫ শতাংশ, যা গত বছরের জুনে ছিল ৩ দশমিক ৪৭ শতাংশ। গত বছরের জুনে বেকারত্বের হার ছিল ৩ দশমিক ৪১ শতাংশ।

শ্রমশক্তির বাইরে থাকা জনগোষ্ঠীর সংখ্যা গত বছরের জুনে ছিল ৪ কোটি ৭৩ লাখ ২০ হাজার, যা চলতি বছরের জুনে এসে দাঁড়িয়েছে ৪ কোটি ৯৫ লাখ ১০ হাজার জনে। অর্থাৎ শ্রমশক্তির বাইরে থাকা জনগোষ্ঠী বেড়েছে। বিবিএস বলছে, যাঁরা কর্মে নিয়োজিত নন অথবা বেকার হিসেবেও বিবেচিত নন, তাঁরাই মূলত শ্রমশক্তির বাইরের জনগোষ্ঠী। যেমন ছাত্র, অসুস্থ, বয়স্ক, কাজ করতে অক্ষম, অবসরপ্রাপ্ত এবং কর্মে নিয়োজিত নন বা নিয়োজিত হতে অনিচ্ছুক এমন গৃহিণীরা এর অন্তর্ভুক্ত।

বিবিএসের জরিপ অনুযায়ী, দেশে মোট শ্রমশক্তির সংখ্যা ৭ কোটি ২২ লাখ ৮০ হাজার, যা গত বছরের জুনে ছিল ৭ কোটি ৩২ লাখ ১০ হাজার। অর্থাৎ বিবিএসের হিসেবে দেশে শ্রমশক্তির সংখ্যা কমেছে। শ্রমশক্তি বলতে ১৫ ও তার চেয়ে বেশি বয়সী কাজে নিয়োজিত এবং বেকার জনগোষ্ঠীর সমষ্টিকে বোঝায়।

এই শ্রমশক্তির মধ্যে কর্মে নিয়োজিত ব্যক্তির সংখ্যা চলতি বছরের জুনে ছিল ৬ কোটি ৯৬ লাখ ৪০ হাজার। এক বছরে আগে ৭ কোটি ৭ লাখ ১০ হাজার জন কাজে নিয়োজিত ছিলেন। কর্মে নিয়োজিত মোট জনগোষ্ঠীর মধ্যে পুরুষের সংখ্যা নারীদের প্রায় দ্বিগুণ।

বিবিএস বলছে, যারা বিগত সাত দিন সময়ে কমপক্ষে এক ঘণ্টা বেতন বা মজুরি বা মুনাফার বিনিময়ে অথবা খানার নিজস্ব ভোগের জন্য পণ্য উৎপাদনমূলক কাজ করেছেন, তাঁরাই মূলত আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) গাইডলাইন অনুযায়ী কর্মরত হিসেবে বিবেচিত হন।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments