Saturday, September 21, 2024
Google search engine
Homeদেশঅটোরিকশা ও সিএনজি চালকদের বিক্ষোভ

অটোরিকশা ও সিএনজি চালকদের বিক্ষোভ

ঢাকা এখন দাবি-দাওয়া আদায়ের শহরে পরিণত হয়েছে। এবার সিএনজিচালিত অটোরিকশার দৈনিক জমা ৫০০ টাকা করাসহ ১০ দফা দাবি আদায়ে বিআরটিএ’র প্রধান কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করছেন চালকরা।

বুধবার (২৮ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর মহাখালীতে অবস্থিত বিআরটিএ’র প্রধান কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালকরা। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের অন্তর্ভুক্ত শ্রমিক সংগঠন ঢাকা জেলা ফোর স্ট্রোক অটোরিকশা (সিএনজি) ড্রাইভার্স ইউনিয়নের ব্যানারে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। অবস্থান কর্মসূচি থেকে চালকরা ‘দুনিয়ার মজদুর এক হও’, ‘আমাদের দাবি মানতে হবে’, যুক্তিযোগ্য ভাড়া নির্ধারণ করতে হবে’ এমন বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন তারা।

সিএনজিচালকরা জানান, বর্তমানে সিএনজি অটোরিকশার মালিককে দৈনিক ভাড়া দিতে হয় ১ হাজার ৭০০ টাকা। হাফ ভাড়া নেয় ৯০০ টাকা। মালিকরা আবারও জমা বাড়ানোর পাঁয়তারা করছেন, সেটা বন্ধ করতে হবে। সিএনজি অটোরিকশার দৈনিক ভাড়া ৫০০ টাকাসহ ১০ দফা দাবি জানান তারা।

চালকরা বলেন, ২০১৫ সাল থেকে চালকদের ওপর মালিক সমিতি নির্যাতন করছে। ঢাকায় পাঁচ হাজার গাড়ি ও চট্টগ্রামে চার হাজার গাড়িচালকদের মধ্যে বিতরণ করলে চালকরা মালিক সমিতির নির্যাতন থেকে মুক্তি পাবেন। সবুর আলী নামে এক চালক বলেন, সরকার নির্ধারিত দৈনিক জমা ৭০০ টাকার বদলে মালিকরা এক শিফটে ৯০০ টাকা থেকে ১১৫০ টাকা নিচ্ছেন এবং দুই শিফটে ১৭০০ থেকে ১৮০০ টাকা পর্যন্ত জমা আদায় করছেন। এমনকি মালিক সমিতি ২০২২ সালের ২৩ মে থেকে আবারও জমা বাড়ানোর পাঁয়তারা করে আসছে। চালকদের কাছ থেকে এই অতিরিক্ত জমা আদায় বন্ধ করতে হবে। মালিক সমিতি থেকে চালকদের জমা আদায়ের রশিদ দিতে হবে। আমাদের প্রধান দাবি সরকার নির্ধারিত দৈনিক জমা ৭০০ টাকা করতে হবে।

আরেক চালক শাহাবুদ্দিন বলেন, রাজধানীতে অনুমোদিত সিএনজি অটোরিকশা আছে সাড়ে ১২ হাজার। অথচ ঢাকার সিএনজি চলে প্রায় ৩০ হাজার। অবৈধ সিএনজি চলার কারণে অবৈধভাবে ভাড়া আদায় করেন মালিকরা। আর আমরাও মিটারে চলতে পারি না। আরেক সিএনজি অটোরিকশা চালক সুজন মিয়া বলেন, ঢাকায় প্রায় এক হাজার সিএনজি মালিকের কাছে প্রায় এক লাখ সিএনজি চালক ও এক কোটি যাত্রী জিম্মি। যাত্রীদের ধারণা, সিএনজি চালকরা যাত্রীদের ওপর জুলুম করেন। কিন্তু চালকরা কতটা অসহায় সে কথা কখনও কেউ জানেই না, শোনেও না। নিয়োগপত্র না থাকায় চালকরা বছরে তিন-চারবার বেকার হন। আমরা এসবের একটি স্থায়ী সমাধান চাই। আমরা চাই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আমাদের বিষয়গুলোর দিকে একটু নজর দিক।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments