ঢাকা | ২৫ অক্টোবর ২০২৫ ইং | বঙ্গাব্দ

ইসকন নিষিদ্ধসহ ৬ দাবিতে ইন্তিফাদা বাংলাদেশ ও বৈষম্যবিরোধী কওমি ছাত্র সংগঠনের বিক্ষোভ

প্রকাশের তারিখ: অক্টোবর ২৪, ২০২৫ ইং

ছবির ক্যাপশন:
ad728
প্রতিদিনের বাংলার প্রতিচ্ছবি : ইসকন (আন্তর্জাতিক কৃষ্ণ ভাবনামৃত সংঘ) নিষিদ্ধসহ ছয় দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে ইন্তিফাদা বাংলাদেশ ও বৈষম্যবিরোধী কওমি ছাত্র সংগঠন।

শুক্রবার (২৩ অক্টোবর) জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে এই দাবি জানানো হয়।

তাদের অন্য দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে গাজীপুরের এক কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনায় পুলিশের ইসকনের হয়ে পক্ষপাতমূলক আচরণের দায়ে ক্ষমা চাওয়া, টঙ্গী এলাকার অপহরণ-হত্যা ও এ বিষয়ে দ্রুত ও নিরপেক্ষ তদন্ত চালিয়ে দোষীদের দ্রুত গ্রেফতার ও শাস্তির ব্যবস্থা করা, রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে ‘কাঠামোগত ইসলাম বিদ্বেষ’ ও ইসলামবিদ্বেষী আচরণ রোধে একটি জাতীয় নীতি ও কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করা, মুসলিম নারীর সম্মান ও নিরাপত্তা রক্ষায় সুনির্দিষ্ট নীতিমালা ও রক্ষা ব্যবস্থাসহ আইনি কাঠামো গঠন করা এবং ইসলামবিদ্বেষ-বিরোধী কর্মকাণ্ডে অগ্রণী যে ইমাম, সক্রিয় নাগরিক ও সংগঠনগুলো লড়াই করছে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, রাজনীতিবিদরা নিজেদের ইমেজ নিয়ে ব্যস্ত। কেউ কেউ টুপি মাথায় দিয়ে ভোট চাইতে আসে। কিন্তু তারা ইসলামের সুরক্ষায় কথা বলে না৷ কোনো ঘটনা ঘটলে দায়সারা কথা বলে নিজেদের দায়মুক্তি দিতে চায়।

অবিলম্বে ইসকনকে নিষিদ্ধ করে কার্যকরী পদক্ষেপ না নিলে প্রয়োজনে বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দেন তারা। পাশাপাশি ইসলামের হেফাজতে হেফাজতে ইসলামের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

ইন্তিফাদা বাংলাদেশের সদস্য আহমেদ রফিক বলেন, ‘মুসলিম নারীকে ধর্ষণের কথা গর্ব করে প্রকাশ করা হয়। খতিব ইসকনের বিরুদ্ধে কথা বলায় তাকে অপহরণ করে শিকলে বেঁধে মেরে ফেলা হয়। এরকম ঘটনা একের পর এক ঘটেই চলেছে। কিন্তু বিপরীতে আমরা দেখতে পাচ্ছি রাষ্ট্র চুপ করে তামাশা দেখছে।’

তিনি অভিযোগ করেন, প্রশাসন অপরাধীদের বাঁচানোর জন্য আয়োজন করছে এবং সুশীল সমাজ নীরব। তিনি রাজনীতিবিদদের সমালোচনা করে বলেন, তারা ‘নিজের ইমেজ নিয়ে ব্যস্ত’ এবং ‘পশ্চিমারা কী বলবে, আমেরিকা কী বলবে" তা নিয়ে চিন্তা করছেন, কিন্তু ‘আল্লাহ কী বলবেন’ তা নিয়ে ভাবার সময় তাদের নেই।

ইসলামী রাজনীতির সঙ্গে জড়িতদের নীরবতার সমালোচনা করে রফিক বলেন, ‘যখন কোরআন অবমাননা হয়, যখন রসূলের অবমাননা হয়, যখন মুসলিম নারীদের ইজ্জতকে ধর্ষণের নিশানা বানানো হয়, তখন তাদের খুঁজে পাওয়া যায় না।’

তিনি আরও বলেন, ‘বারবার এরা আমাদের সম্প্রীতির কথা বলে, আমাদেরকে মন্দির পাহারা দিতে বলে। কিন্তু মুসলিম নারীর ইজ্জত লুণ্ঠনের সময় এদের মুখে কবরের নীরবতা। আমরা স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই এদের এই নীরবতা অবশ্যই অপরাধের অংশ এবং এই নীরবতার কারণ হলো এই সমাজ ও রাষ্ট্রে কাঠামোত ইসলামবিদ্বেষ।’

সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল মতিঝিল শাপলা চত্বরে গিয়ে শেষ হয়।
কমেন্ট বক্স