রোববার সকালে উপজেলা অডিটোরিয়ামে ‘এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোট, চিতলমারী’র আয়োজনে অনুষ্ঠিত এ সভায় আন্দোলনের পরবর্তী কর্মপরিকল্পনা নিয়ে বিশদ আলোচনা হয়।
সভায় বক্তারা বলেন, এমপিওভুক্ত শিক্ষক–কর্মচারীদের জন্য মূল বেতনের ২০ শতাংশ বাড়িভাড়া বৃদ্ধি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ এবং চিকিৎসা ভাতা বাস্তবায়নের দাবিতে চলমান আন্দোলন আরও বেগবান করা হবে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেন তারা।
আন্দোলনকে সুশৃঙ্খল ও কার্যকরভাবে পরিচালনা করতে ‘চলমান এমপিওভুক্ত শিক্ষক আন্দোলন সমন্বয় কমিটি, চিতলমারী, বাগেরহাট’ নামে ১৩ সদস্যের নতুন একটি কমিটি গঠন করা হয়।
রহমাতপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুস সালাম গাজীকে আহ্বায়ক এবং চিতলমারী জেনারেল শিক্ষক সমিতির সভাপতি শোয়েব হোসেন গাজীকে সদস্য সচিব নির্বাচিত করা হয়।
সভায় ফান্ড সংগ্রহ, শিক্ষক-কর্মচারীদের ঢাকায় পাঠানো, অবস্থান কর্মসূচি, অনশন ও বিক্ষোভের মতো কর্মসূচি বাস্তবায়নের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
এসময় বক্তব্য দেন উপজেলা মাদ্রাসা শিক্ষক পরিষদের সভাপতি সৈয়দ নূর মোহাম্মদ, উপজেলা মাদ্রাসা জেনারেল শিক্ষক সমিতির সভাপতি শোয়েব হোসেন গাজী, শেরে বাংলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান কাজী, সহকারী অধ্যাপক প্রদীপ মণ্ডল, চিতলমারী আলিয়া মাদরাসার সুপার মাওলানা ইদ্রিসুর রহমান , প্রধান শিক্ষক টিপু সুলতান, শৈলেন্দ্রনাথ বাড়ৈ, বিপদ ভঞ্জন মণ্ডল, সুরেশ মণ্ডল, নির্মল কুমার শিকদার, প্রভাষক বিজয়া রায় চৌধুরী, আবু শাহী, মো. আবু নাইম, রিয়াজুল ইসলাম রিয়াজ প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, “ন্যায্য অধিকার আদায়ের এই সংগ্রাম কেবল শিক্ষক সমাজের নয়, এটি দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে বাঁচানোর আন্দোলন।” তারা সকল শিক্ষক-কর্মচারীকে ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান।