প্রিন্স মণ্ডল অলিফ (বাগেরহাট প্রতিনিধি) : বাগেরহাট জেলার চিতলমারী উপজেলার চরকুড়ালতলা গ্রামের একটি মাছের ঘের থেকে অর্পিতা সাহা (২০) নামে এক তরুণীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (২২ জুলাই) সকালে স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে চিতলমারী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশটি উদ্ধার করে।
নিহত অর্পিতা সাহা উপজেলার সদর বাজারের পরিচিত শাড়ি-কাপড় ব্যবসায়ী আনন্দ সাহার মেয়ে। পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, এক বছর আগে অর্পিতার বিয়ে হয় নড়াইল জেলার কালিয়া উপজেলার মহাজন এলাকার বাসিন্দা উত্তম মালোর সঙ্গে। তবে বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই অর্পিতা মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েন। পরিবার জানায়, তিনি ‘মৃগীরোগ’ বা সিজার রোগে আক্রান্ত ছিলেন এবং সেই কারণে বেশিরভাগ সময় বাবার বাড়িতেই অবস্থান করতেন।
তার বাবা আনন্দ সাহা জানান, “সোমবার সকালে অর্পিতা ঘর থেকে বেরিয়ে যায়। আগেও সে এমনভাবে বেরিয়ে যেত এবং কিছু সময় পরে বা দিনে ফিরে আসতো। কিন্তু এবার আর ফেরেনি। অনেক খোঁজাখুঁজির পরও সন্ধান পাওয়া যায়নি।”
পরদিন মঙ্গলবার সকালে স্থানীয় চরকুড়ালতলা গ্রামের মৃত কৈলাশ বালার ছেলে পরিতোষ বালা তার মাছের ঘেরে এক নারীর মরদেহ ভাসতে দেখেন। বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ এসে মরদেহটি উদ্ধার করে এবং পরিবারের সদস্যরা তা অর্পিতার মরদেহ হিসেবে শনাক্ত করেন।
চিতলমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম শাহাদাৎ হোসেন বলেন, “অর্পিতার পরিবার জানিয়েছে, সে মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন এবং দীর্ঘদিন ধরে মৃগীরোগে ভুগছিল। প্রাথমিকভাবে এটি আত্মহত্যা বা দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যু বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করা হচ্ছে। থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে, যার নম্বর—১৩।”
মরদেহের প্রাথমিক সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। অর্পিতার মৃত্যুতে পরিবারে নেমে এসেছে গভীর শোক ও বিষাদের ছায়া।