ঢাকা | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ইং | বঙ্গাব্দ

সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ ধরার সরঞ্জাম ও বরফ ভর্তি ট্রলার জব্দ, কারাগারে হরিণ শিকারি

প্রকাশের তারিখ: Jul ২১, ২০২৫ ইং

ছবির ক্যাপশন:
ad728
প্রিন্স মণ্ডল অলিফ (বাগেরহাট প্রতিনিধি) : বাগেরহাট জেলার মোংলার সংরক্ষিত সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ শিকার এবং হরিণ শিকারের বিরুদ্ধে বিশেষ অভিযানে বন বিভাগের কর্মকর্তারা উল্লেখযোগ্য সাফল্য পেয়েছেন।

গতকাল রবিবার (২০ জুলাই) সকালে মোংলার ঢাংমারী স্টেশন ও ঘাগড়ামারী ক্যাম্পের কর্মকর্তারা যৌথ টহল পরিচালনার সময় সুন্দরবনের হুলার বাড়ানী খালে বিষ দিয়ে মাছ ধরার অভিযোগে ৩টি ডিঙি নৌকা, ২ বোতল বিষ, ১৪০ কেজি চিংড়ি মাছ, ১টি টোনা জাল এবং ২টি বৈঠাসহ বেশ কিছু সরঞ্জাম জব্দ করেন। তবে অভিযানের সময় জেলেরা বনরক্ষীদের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।


সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) রেজাউল করিম চৌধুরী জানান, “সম্প্রতি বিভিন্ন খালে বিষ দিয়ে মাছ ধরার প্রবণতা বেড়েছে। আমাদের নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে এসব সরঞ্জাম জব্দ করা হয়েছে। এই ধরণের কার্যকলাপ শুধু মাছ নয়, সুন্দরবনের সামগ্রিক জীববৈচিত্র্য ধ্বংস করছে।”

তিনি আরও জানান, গত শনিবার কটকা টহল ফাঁড়ির আরেকটি অভিযানে হরিণ শিকারের প্রস্তুতিকালে বরফ ভর্তি একটি ট্রলার, ৮০ কেজি ওজনের ৩ বস্তা ফাঁদ, ছুরি, ওজন মাপার যন্ত্র ও রান্নার পাত্র জব্দ করা হয়।

হরিণ শিকারের ঘটনায় পাথরঘাটা উপজেলার কাঠালতলী গ্রামের বেলায়েত তালুকদারের ছেলে সাইফুল ইসলামকে দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে বাগেরহাট সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত গত ১৩ জুলাই ১ বছর ২ মাসের কারাদণ্ড প্রদান করেছে। এছাড়া বরগুনার পাথরঘাটা ও বাগেরহাটের শরণখোলা এলাকার হরিণ শিকারি দলের আরও চার সদস্য বন বিভাগের হাতে আটক হয়ে বর্তমানে জেল হাজতে রয়েছেন।

ডিএফও রেজাউল করিম চৌধুরী জানান, “কম জনবল নিয়েও আমরা সাড়াশি অভিযান চালিয়ে যাচ্ছি। সুন্দরবনের সম্পদ রক্ষায় কোনো ধরনের ছাড় দেওয়া হবে না। বনদস্যু, চোরাকারবারি ও বিষদিয়ে মাছ ধরা চক্রের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা চলবে।”

এমন সফল অভিযানে স্থানীয় প্রশাসন ও পরিবেশবাদীরা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
কমেন্ট বক্স