প্রিন্স মণ্ডল অলিফ (বাগেরহাট প্রতিনিধি) : বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার কলিগাতি গ্রামে আজ সোমবার সকালে এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ১১ সন্তানের জননী নাজমা বেগম (৪৮)। জানা গেছে, সকাল ৯টা ৩০ মিনিটের দিকে বাড়ির পাশেই স্যালো ইঞ্জিনচালিত একটি ভ্রাম্যমাণ ধানভাঙ্গা মেশিনে শাড়ির আঁচল ও চুল পেঁচিয়ে ঘটনাস্থলেই তার করুণ মৃত্যু ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মৃত নাজমা বেগম ওই গ্রামের মোশারফ হোসেনের স্ত্রী। সকালে গ্রামের শামিম মোল্লার বাড়ির উঠানে ধান ভাঙার সময় নাজমা বেগম সেখানে গিয়ে কাজ করছিলেন। হঠাৎ তার শাড়ির আঁচল মেশিনে পেঁচিয়ে যায়। আঁচল ছাড়াতে গিয়ে তার মাথার চুলও মেশিনে পেঁচিয়ে যায়। এতে তার মাথার চামড়া উঠে যায় ও মাথার পেছনের অংশ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
তৎক্ষণাৎ স্থানীয়রা মেশিন বন্ধ করে তাকে উদ্ধার করে চিতলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নাজমা বেগমের মৃত্যুর খবরে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তিনি ১০ সন্তান জীবিত অবস্থায় রেখে গেছেন, যাদের মধ্যে ১ জন ঢাকায়, ৭ জন খুলনায় এবং ২ জন বাড়িতে অবস্থান করছে। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জুয়েল খলিফা জানান, "নাজমা বেগম ছিলেন পরিশ্রমী ও শান্তশিষ্ট এক নারী। দিনমজুরির মাধ্যমে দুই সন্তানকে নিয়ে সংসার চালাতেন।"
এদিকে দুর্ঘটনায় ব্যবহৃত ধানভাঙ্গা মেশিনের মালিক নূর ইসলাম ও তার পরিবারের সদস্যরা বর্তমানে পলাতক, তাদের বাড়ি তালাবদ্ধ অবস্থায় পাওয়া গেছে।
চিতলমারী থানার এসআই সুজয় বলেন, “আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রাথমিক তদন্ত শেষ করেছি। পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”