ঢাকা | ০৪ Jul ২০২৫ ইং | বঙ্গাব্দ

ইন্টারনেট ব্ল্যাকআউট কর্মসূচি থাকছে না : সংস্কৃতি উপদেষ্টা

প্রকাশের তারিখ: Jul ৩, ২০২৫ ইং

ছবির ক্যাপশন:
ad728
বাংলার প্রতিচ্ছবি : জুলাই ‘পুনর্জাগরণ’ অনুষ্ঠানমালার অংশ হিসেবে ঘোষিত ‘ইন্টারনেট ব্ল্যাকআউট’ কর্মসূচি সরকার বাতিল করেছে বলে জানিয়েছেন সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।

বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে এ তথ্য জানান তিনি।

পোস্টে মোস্তফা সরয়ার ফারুকী লেখেন, জুলাই কোমেমোরেশন প্রোগ্রামের একটি কর্মসূচি নিয়ে আমাদের শুরু থেকেই কিছুটা দ্বিধা ছিল। একটি মাত্র কর্মসূচি আমরা একাধিকবার বাদ দিয়েছি, আবার যুক্ত করেছি। আমাদের অনেকেই মনে করছিলেন, ‘এক মিনিট ইন্টারনেট ব্ল্যাকআউট’ সম্ভবত তেমন একটা ভালো আইডিয়া নয়।

তিনি পোস্টে লেখেন, পরে নানা আলোচনার পর আবারও কর্মসূচিটির অন্তর্ভুক্তি ঘটে। বড় কোনো কর্মসূচি ও বড় একটি দল একসঙ্গে কাজ করলে মাঝে মধ্যে এমন কিছু ভুল চোখের আড়ালে থেকে যায়। যাই হোক, ‘ইন্টারনেট ব্ল্যাকআউট’ কর্মসূচি নিয়ে আপনাদের মতামতের জন্য আমরা আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞ।

মোস্তফা সরয়ার ফারুকী আরও লিখেছেন, আপনাদের অবগতির জন্য জানাচ্ছি, আমরা নিজেদের মধ্যে দ্রুত সভা করে সিদ্ধান্ত নিয়েছি—এক মিনিট প্রতীকী ইন্টারনেট ব্ল্যাকআউট কর্মসূচি থাকছে না। সংশোধিত স্লাইড শেয়ার করে হচ্ছে। এর বাইরে সব কর্মসূচি অপরিবর্তিত থাকছে। লেটস রিকানেক্ট, রিগ্রুপ অ্যান্ড রিইগনাইট দ্য ভেরি জুলাই ফায়ার।

এর আগে, গত বছরের ছাত্র-জনতার আন্দোলনের স্মরণে প্রতীকী উদ্যোগ হিসেবে ১৮ জুলাই ২০২৫ তারিখে ১ মিনিটের জন্য মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।

বুধবার (২ জুলাই) রাতে প্রধান উপদেষ্টা (চিফ অ্যাডভাইসর, জিওবি)-র ফেসবুক পেজে প্রকাশিত এক ঘোষণায় এ তথ্য জানানো হয়। ঘোষণায় বলা হয়, এই ‘ইন্টারনেট ব্ল্যাকআউট’ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করবে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ।

২০২৪ সালের জুলাই আন্দোলনের সময় ১৮ জুলাই রাত ৯টায় তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার হঠাৎ সারা দেশে ইন্টারনেট বন্ধ করে দিয়েছিল, যা ব্যাপক প্রতিক্রিয়া ও বিরোধিতার জন্ম দেয়।
কমেন্ট বক্স