বাংলার প্রতিচ্ছবি : ঈদু আজহা উপলক্ষ্যে ঢাকা-বরিশাল নৌপথে লঞ্চের বিশেষ সার্ভিস শুরু হয়েছে। এবার এই রুটে ১২-১৩টি লঞ্চ যাত্রী পরিবহণ করবে। মঙ্গলবার প্রথম দিনে অর্ধডজন নৌযান যাত্রী পরিবহণ করেছে।
পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর অবিরাম লোকসানে থাকা লঞ্চমালিকরা এবার ঈদে যাত্রী বৃদ্ধির আশায় বুক বেঁধে রয়েছেন। কিন্তু কয়েকদিন বৈরী আবহাওয়ার কারণে লঞ্চে যাত্রীচাপ চাহিদার চেয়ে কম। তবে ঈদ ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে যাত্রী বাড়বে বলে জানিয়েছেন লঞ্চ সংশ্লিষ্টরা। এছাড়া সরকারি রেট অনুযায়ী বিশেষ সার্ভিসে সিঙ্গেল কেবিন ১ হাজার, ডাবল ২ হাজার এবং ডেক ৪ শ’ টাকা নেওয়া হবে জানিয়েছেন লঞ্চমালিকদের নেতারা।
পদ্মা সেতু চালুর পর ঢাকা-বরিশাল নৌ-পথে লঞ্চ সার্ভিসে ধস নামে। যাত্রী সংখ্যা তলানিতে নেমে যাওয়ায় লঞ্চ মালিকরা রোটেশনে মাত্র ২-৩টি লঞ্চ চালিয়ে আসছিলেন। তবে এবার ঈদের টিকিট অগ্রীম বিক্রি হয়ে গেলেও তা ভয়াবহ পর্যায়ে পৌঁছায়নি। এদিকে লঞ্চ চলাচল নির্বিঘ্ন রাখতে ঈদের আগে-পরের ৩ দিন মালবাহী জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়।
সুন্দরবন লঞ্চের মাস্টার মো. আলম বলেন, যাত্রী সংকটে থাকা এ রুটে ঈদে চাপ বেশি থাকে।
বরিশাল বিআইডব্লিউটিএ’র সহকারী পরিচালক (নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা) শহিদুল ইসলাম বলেন, ঈদে যাত্রীদের যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। টার্মিনালে নিরাপত্তা নিশ্চিতে সার্বক্ষণিক আনসার সদস্যদের পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরা কাজ করবেন।