বাংলার প্রতিচ্ছবি : ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে গত বছরের ৫ আগস্ট দেশ ছেড়ে পালিয়ে ভারতে যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার এই পালিয়ে যাওয়ার খবর আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো এই ঘটনাকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে প্রচার করে, যা বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে বৈশ্বিক আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে নিয়ে আসে।

চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক হাসিনার পদত্যাগ নিয়ে কেমন ছিল আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের শিরোনাম: 

‘বিক্ষোভের মুখে বাংলাদেশের নেত্রী পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়, শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর জনগণ গণভবনে প্রবেশ করে। শেখ মুজিবুর রহমানের ছবির সামনে জনতার ক্ষোভ প্রকাশের দৃশ্যও উঠে আসে তাদের প্রতিবেদনে।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন, আন্দোলনকারীরা গণভবন দখল করেছে’

‘সামরিক হেলিকপ্টারে করে দেশ ছেড়েছেন শেখ হাসিনা, গণভবনে ঢুকে পড়েছে হাজারো মানুষ’

‘শেখ হাসিনা নিরাপদ আশ্রয়ের উদ্দেশে দেশ ছেড়েছেন। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের বরাতে জানা গেছে, হাজারো মানুষ গণভবনে প্রবেশ করেছে।’

‘শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়েছেন এবং বাংলাদেশও ছেড়ে গেছেন’

‘সেনাপ্রধান নিশ্চিত করেছেন, শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেছেন এবং সামরিক বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রেখেছে’

‘এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে চলমান প্রাণঘাতী সংঘর্ষ ও আন্দোলনের পর পদত্যাগ করলেন শেখ হাসিনা’

‘বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেছেন এবং দ্রুত একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের প্রস্তুতি চলছে’

‘শেখ হাসিনার পতনের পর বাংলাদেশে রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে, সামরিক বাহিনীর তত্ত্বাবধানে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে’

‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বোন শেখ রেহানাকে নিয়ে গণভবন ছেড়েছেন, হেলিকপ্টারে করে তাকে ‘নিরাপদ’ আশ্রয়ে পাঠানো হয়েছে’

‘আওয়ামী সরকারের পতন! বিক্ষোভের মুখে বাংলাদেশ ছাড়লেন শেখ হাসিনা’

সূত্র উদ্ধৃত করে সংবাদসংস্থা এএনআই জানিয়েছে, শেখ হাসিনার বিমান বিকেল ৫টা থেকে ৫টা ১৫ মিনিটের মধ্যে দিল্লিতে পৌঁছে যেতে পারে।’

অন্যদিকে, পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ডন শিরোনাম করে ‘বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের প্রক্রিয়া চলছে। শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেছেন এবং দেশের বাইরে চলে গেছেন।’