বাংলার প্রতিচ্ছবি । ১৪ নভেম্বর ২০২৪ !! ১১:৩৯
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) ছাত্রী হল হজরত বিবি খাদিজা হলে শর্ট সার্কিটের কারণে আগুনের ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) মধ্যরাতে এই ঘটনা ঘটে। পরে ফায়ার সার্ভিস এবং মালেক হলের ছেলেরা গিয়ে আগুন নেভায়।
জানা গেছে, বিকট শব্দে হলের মেয়েরা বাইরে বেরিয়ে আসে। দুইজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছে এবং একজন সংজ্ঞা হারিয়ে ফেলেন। সদর হাসপাতালে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর তারা সুস্থ হন।
এদিকে, এ ঘটনার কারণে বৃহস্পতিবারের সব পরীক্ষা স্থগিত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
হলের শিক্ষার্থীরা জানান, এ ঘটনায় তৃতীয় তলার দ্বিতীয় ব্লকের দুটি কক্ষে কিছু তার পুড়েছে। অন্যান্য কক্ষের লাইট থেকেও শর্ট সার্কিট হয়েছে। আগুনে তার গলে গেছে।
এ বিষয়ে সহকারী প্রক্টর মামুন মিয়া বলেন, ‘ইলেক্ট্রিক শর্ট সার্কিট থেকে এই ঘটনার সূত্রপাত। রাত সোয়া ৩টা থেকে সাড়ে ৩টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। সঙ্গে সঙ্গে আমি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হই। এর মধ্যে ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নিভিয়ে ফেলে। মালেক হলের ছেলেরাও গিয়ে আগুন নেভায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই হলটি পুরনো। হলে যে তারগুলো দেওয়া হয়েছে সেগুলোর ফ্যান, লাইট চালানোর সক্ষমতা রয়েছে। আগের তারগুলো স্ট্রং মানের ছিল না। যার ফলে রাইস কুকার, হিটার, ইনডাকশন চালানোর লোড নিতে পারে না। এখন প্রশাসন ভালোভাবে ওয়্যারিং করে লাইন দেবে। এ ছাড়া হলের মেয়েদের জন্য ডাইনিং চালু করা হবে, যাতে রুমগুলোতে রান্নার পরিমাণ কমে যায়।’
সকাল ৯টায় বিবি খাদিজা হলের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রেজুয়ানুল হক। তিনি বিদ্যুতের সমস্যার দীর্ঘস্থায়ী ও দ্রুত সমাধান করবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন এবং হলের অন্যান্য সমস্যা নিয়ে ছাত্রীদের সঙ্গে আজ একটা মতবিনিময় করবেন বলে জানিয়েছেন।
পরে সকাল ১০টায় ওই হল পরিদর্শন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইসমাইল। তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা চাইলে দ্রুত খাদিজা হলের ডাইনিং চালু করা হবে।’