বাংলার প্রতিচ্ছবি । ১৫ অক্টোবর ২০২৪ !! ২০:১৬
সৃজনশীল শিক্ষাক্রমের ত্রুটি উত্তরণে এখনই বিশেষজ্ঞ ও শিক্ষকদের নিয়ে অনুপযোগী পাঠ্য বিষয় বাদ দিয়ে নতুন করে পাঠ্যবই প্রণয়ন করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) টেকসই জীবনমান গবেষণা কেন্দ্রের উদ্যোগে বগুড়ায় সরকারি মুজিবুর রহমান মহিলা কলেজের শিক্ষক মিলনায়তনে মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষা সংস্কার প্রস্তাবনা পেশ ও মতবিনিময় সভায় ১৬টি সংস্কার প্রস্তাব দেওয়া হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন কলেজের উপাধ্যক্ষ ড. বেল্লাল হোসেন ও প্রধান অতিথি ছিলেন অধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. রেজাউন নবী। শিক্ষা সংস্কার প্রস্তাবনা পেশ করেন বগুড়া সরকারি কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও সংগঠনের উপদেষ্টা ড. মনসুর আহমেদ। মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষা সংস্কার প্রস্তাবনায় সমস্যা চিহ্নিত করতে ও সমাধানের পথ-রেখার ১৬টি সংস্কার প্রস্তাব তুলে ধরা হয়।
প্রস্তাবনায় বলা হয়, ফিরে আসা সৃজনশীল শিক্ষাক্রমের ত্রুটি উত্তরণে এখনই শিক্ষক ও বিশেষজ্ঞদের নিয়ে অনুপযোগী পাঠ্য বিষয় বাদ দিয়ে নতুন করে পাঠ্য বই প্রণয়ন করতে হবে। প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে প্রশ্নপত্র তৈরি ও উত্তরপত্র মূল্যায়নে আন্তঃপ্রতিষ্ঠান মডারেশন পদ্ধতি চালু করতে হবে। শিক্ষকদের সর্বনিম্ন বেতন হবে নবম গ্রেড করতে হবে। মাধ্যমিকের জন্য আলাদা প্রশিক্ষণ ও গবেষণা সেন্টার প্রতিষ্ঠা করা, শিক্ষক-কর্মচারীদের জন্য আলাদা আচরণ-শৃঙ্খলা বিধিমালা করা, শিক্ষকদের ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি ও ছাত্র-শিক্ষক সম্পর্ক বৃদ্ধির জন্য কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।
প্রস্তাবনায় আরও বলা হয়, এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং ও গভর্নিং বডি বাতিল করে উপজেলা ও জেলা শিক্ষা প্রশাসনকে ঢেলে সাজাতে হবে, মাধ্যমিকের সব উন্নয়ন প্রকল্প হতে হবে রাজস্ব বাজেট থেকে। শিক্ষা প্রশাসন হবে নিচ থেকে উপরি কাঠামোর। কোচিং সেন্টার বন্ধে আইন নয় বরং কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণসহ নানা বিষয় তুলে ধরা হয়। পূর্ণাঙ্গ প্রস্তাবনাগুলোকে একটি পুস্তিকা আকারে প্রকাশ করতে হবে।