বাংলার প্রতিচ্ছবি । ০২ আগষ্ট ২০২৪ !! ০৬:১৫
ফরিদপুর সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের অধ্যক্ষ রমা সাহার পদত্যাগপত্র লিখে নিয়ে আসার অভিযোগ ফরিদপুর জেলা ছাত্রদলের নেতাদের বিরুদ্ধে। তবে অধ্যক্ষ না থাকায় পদত্যাগপত্রটি কলেজের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদকের কাছে দিয়ে যান তাঁরা।
রাজেন্দ্র কলেজ শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. শহিদুল ইসলামের কাছে ওই পত্র দিয়ে যান ছাত্রদলের নেতারা। এ সময় জেলা ছাত্রদলের সভাপতি সৈয়দ আদনান হোসেন ওরফে অনু, সহসভাপতি অনিক খান ওরফে জিতু, সাধারণ সম্পাদক তামজিমুল হাসান কায়েসসহ জেলা ছাত্রদলের নেতা ও কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘দুপুর ১২টার দিকে একটি পদত্যাগপত্র লিখে নিয়ে ছাত্রদল নেতারা কলেজে আসেন। ওই সময় অধ্যক্ষের কক্ষ বন্ধ থাকায় জেলা ছাত্রদল নেতারা তিনতলায় অবস্থিত শিক্ষকদের মিলনায়তনে আসেন। এ সময় ছাত্রদল নেতারা অধ্যক্ষের নামে আগে থেকে লিখে নিয়ে আসা পদত্যাগপত্রটি আমার হাতে ধরিয়ে দেন।’
মো. শহিদুল ইসলাম আরও বলেন, ‘ওই সময় ছাত্রদল নেতারা বলেন, “ম্যাডামকে বলবেন, এই পদত্যাগপত্রে তিনি স্বাক্ষর দিয়ে যেন ডিজি অফিসে পাঠিয়ে দেন এবং এর পর থেকে ম্যাডাম যেন কলেজে আর না আসেন।”’
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আদনান হোসেন বলেন, ‘আমরা পদত্যাগপত্র লিখে নিয়ে যাইনি। সাধারণ ছাত্ররা লিখে নিয়ে গিয়েছিল। পরে আমরা জানতে পারি, পদত্যাগ করানোর এটি সিস্টেম নয়। এর জন্য আমরা আর এগোইনি।’
আদনান হোসেন বলেন, ‘ম্যাডামকে পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর করে ডিজি অফিসে পাঠিয়ে দিতে কিংবা ম্যাডাম আর ক্যাম্পাসে আসতে পারবেন না, এ জাতীয় কথা আমরা বলিনি।’
জেলা বিএনপির সদস্যসচিব এ কে কিবরিয়া বলেন, ‘কোনো সরকারি অফিসে গিয়ে দুর্নীতি ধরা কিংবা পদত্যাগে বাধ্য করা—এ জাতীয় কাজ আমাদের নয়। কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে এ ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করা যেতে পারে।’
রাজেন্দ্র কলেজে ছাত্রদলের নেতাদের অধ্যক্ষের পদত্যাগপত্র লিখে নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে এ কে কিবরিয়া বলেন, ‘এ বিষয়ে আমার জানা ছিল না। আমি তাদের ডেকে এ ব্যাপারে সতর্ক করব এবং আগামীতে যাতে এ জাতীয় ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে, সে ব্যাপারে সতর্ক করব।’ (প্রআ)