বাংলার প্রতিচ্ছবি । ১৬ জুলাই ২০২৪ !! ১৮:১৩
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে রংপুরে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশ ও ছাত্রলীগের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। এতে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। গুলিবিদ্ধ ও আহত হয়েছেন শতাধিক শিক্ষার্থী। এমন পরিস্থিতিতে বিজিবি তলব করেছে জেলা প্রশাসন।
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) বিকালে জেলা প্রশাসক মোবাশ্বের হাসান বলেন, ‘আমরা বিজিবি তলব করেছি। কিছুক্ষণের মধ্যে তারা মাঠে নামবে।’
এদিকে বিকালে সংঘর্ষে নিহত শিক্ষার্থীর নাম নাম আবু সাঈদ (২২)। তিনি বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী এবং কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম সমর্থক। তাজহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রবিউল ইসলাম সংঘর্ষে শিক্ষার্থী নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে তিনি পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন কিনা, তা জানাতে পারেননি। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের প্রধান আসিফ আল মতিন বলেছেন, পুলিশের ছররা গুলিতে সাঈদ নিহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) দুপুর ২টার দিকে রংপুর নগরীর লালবাগ থেকে শুরু করে মডার্ন মোড়, পার্কের মোড়সহ বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত এই সংঘর্ষ শুরু হয়। যা এখনও চলমান রয়েছে। প্রায় চার কিলোমিটার এলাকাব্যাপী সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়েছে।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রংপুর জিলা স্কুল থেকে কয়েক হাজার শিক্ষার্থী কোটা সংস্কার নিয়ে মিছিল বের করেন। এর আগে নগরীর সব স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে সেখানে সমবেত হন। মিছিলটি পুলিশ লাইন্সের কাছে এলে পুলিশ মিছিলকারীদের গতিরোধ করে। এ সময় লাঠিচার্জ করে। কিন্তু পুলিশি বাধা উপেক্ষা করে মিছিলকারীরা নগরীর জাহাজ কোম্পানি এলাকায় এসে নগরীর প্রধান সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করে আধা ঘণ্টা সেখানে অবস্থান করেন। এরপর বিক্ষোভকারীরা মিছিল নিয়ে প্রেসক্লাবের সামনে এসে বিক্ষোভ করেন।
পরে শিক্ষার্থীরা রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে যেতে চাইলে পুলিশ আবারো তাদের গতিরোধ করে। এক পর্যায়ে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে মিছিল নিয়ে চার কিলোমিটার সড়ক অতিক্রম করে নগরীর লালবাগ এলাকায় পৌঁছে সেখানে কারমাইকেল বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের শিক্ষার্থীরা তাদের সঙ্গে যোগ দেন। পরে মিছিলকারীরা রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছাকাছি এলে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের ভেতরে অবস্থান নিয়ে আন্দোলনকারীদের ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে।