বাংলার প্রতিচ্ছবি । ২৮ নভেম্বর ২০২৪ !! ১২:৫৩
ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী স্যার কেয়ার স্টারমার এবং ডেপুটি প্রধানমন্ত্রী অ্যাঞ্জেলা রেনার আগামী পাঁচ বছরে ১৫ লাখ নতুন বাড়ি নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, লেবার সরকারকে তার আবাসন লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য প্রয়োজন হবে প্রায় ৫ লাখ নির্মাণ শ্রমিক। দেশটিতে এত সংখ্যক নির্মাণ শ্রমিক নেই। তাই এই ঘাটতি পূরণে সরকারকে বিদেশ থেকেই শ্রমিক আনতে হবে। আর এ জন্য অভিবাসন আইনও শিথিল করতে হবে। আর এটা হলে ব্রিটেনে অন্তত কয়েক হাজার কর্মীর নতুন করে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে বলে মনে করছেন এখানকার বাংলাদেশি কমিউনিটি।
অভিবাসন বিষয়ক আইনজীবী লন্ডনের চ্যান্সেরি সলিসিটর্সের প্রিন্সিপাল সলিসিটর ব্যারিস্টার মো. ইকবাল হোসেইন বলেন, ব্রিটেনের বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মন্ত্রী রুশনারা আলী এখানকার আবাসন খাতে কাজ করছেন। ব্রিটেন সরকার যদি নতুন ১৫ লাখ বাড়ি তৈরিতে বিদেশি কর্মী আনতে নিয়ম শিথিল করে, তাহলে অন্তত কয়েক হাজার বাংলাদেশির জন্য এখানে কর্মসংস্থানের নতুন সুযোগ সৃষ্টি হতে পারে।
তিনি বলেন, ব্রিটেন সরকার যদি সঠিক ও অভিজ্ঞদের সুযোগ করে দেওয়ার উদ্যোগ নেয় এবং ভিসা নিয়ে দালালদের দৌরাত্ম্য বন্ধ করতে পারে; তবে এটি তাদের জন্যও মঙ্গলজনক হবে।
তবে বাংলাদেশিদের জন্য সেই সুযোগ সৃষ্টিতে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে আগেভাগে সম্ভাব্য সব ক্ষেত্রে ব্রিটিশ সরকারের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে যোগাযোগ ও সমন্বয়েরও পরামর্শ দেন এই আইনজীবী।
উল্লেখ্য, ক্যাপিটাল ইকোনমিক্সে বুধবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে গবেষকরা বলেছেন— নতুন করে আরও ১৫ লাখ বাড়ি নির্মাণের লক্ষ্য পূরণের জন্য ব্রিটেনে পর্যাপ্ত নির্মাণ শ্রমিক নেই। এই বৃহৎ নির্মাণযজ্ঞে যে ৫ লাখ নির্মাণ শ্রমিকের প্রয়োজন, তা এখানে খুঁজে পাওয়া কঠিন হবে।
গবেষকদের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নতুন বাড়ি তৈরির লক্ষ্য পূরণে প্রশিক্ষণ স্কিমের একমাত্র বিকল্প নির্মাণ শ্রমিকদের জন্য ভিসার পথ সহজ করা।