বাংলার প্রতিচ্ছবি । ২০ আগষ্ট ২০২৪ !! ২০:০১
একটি বিপর্যয়কর অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে দেশের দায়িত্ব নিয়েছেন উল্লেখ করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহম্মদ ইউনূস বলেছেন, আমরা একটি কঠিন পরিস্থিতিতে রয়েছি। অবশ্য এটা আমাদের জন্য একটি সুযোগও। এ পরিস্থিতিতে প্রয়োজনীয় সংস্কার করে দেশের দ্রুত উন্নয়ন সম্ভাবনা রয়েছে।
মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স, বাংলাদেশ-এর (আইসিসি-বি) একটি প্রতিনিধি দল তার সঙ্গে সাক্ষাতে গেলে তিনি এসব কথা বলেন। এ দিন বিকালে তার সরকারি বাসভবন ও কার্যালয় যমুনায় আইসিসি-বি এর একটি প্রতিনিধি দল প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এ সময় প্রতিনিধি দলের প্রধান আইসিসি-বি প্রেসিডেন্ট মাহবুবুর রহমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব নেওয়ায় ড. ইউনূসকে ধন্যবাদ জানান। এ সরকারের প্রতি তাদের অকুণ্ঠ সমর্থনের কথা জানান। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সাক্ষাৎকালে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, ‘সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বর্তমান পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠে বাংলাদেশ বিশ্বের কাছে নিজেদের একটি অবস্থান তৈরি করে নিতে পারবে। এটা সম্ভব হলে বিশ্ব আমাদেরকে ইতিবাচকভাবে দেখবে। আমাদের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য করতে এগিয়ে আসবে।’
আইসিসি-বি প্রতিনিধিরা প্রধান উপদেষ্টাকে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে তাড়াহুড়ো না করে প্রয়োজনীয় সংস্কারের ওপর নজর দেওয়ার গ্রুরুত্বারোপ করেন।
পরিস্থিতির জন্য বিদায়ী আওয়ামী লীগ সরকারকে দায়ী করে আইসিসি-বি প্রেসিডেন্ট মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘গত ১৫ বছর দেশে কী হয়েছে আমরা তার প্রত্যক্ষ সাক্ষী। আগের সরকার দেশকে ধ্বংসের মুখে ফেলে দিয়েছে।’ দেশের বেসরকারি খাতের সবাই বর্তমান সরকারের সঙ্গে রয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।
ব্যাংকিং খাত, রাজস্ব প্রশাসন, শিক্ষা ও শিল্পে গভীর সংস্কার ও পুনর্গঠন প্রয়োজন বলেও তারা উল্লেখ করেন।
অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্বগ্রহণের প্রেক্ষাপট তুলে ধরে ড. ইউনূস ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের উদ্দেশ করে বলেন, ‘আমরা যদি তরুণদের স্বপ্ন সত্যি করতে পারি, তাহলে দেশের স্বপ্নও সত্য করতে সক্ষম হবো।’
সাক্ষাতে প্রতিনিধি দলের অন্য সদস্যদের মধ্যে এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মাহবুবুল আলম, ব্যবসায়ী নেতা তপন চৌধুরী, কুতুবউদ্দিন আহমেদ, এ কে আজাদ, সিমিন রহমান, খন্দকার রফিকুল ইসলাম, নাসের ফিরোজ বিজয়, ফজলুল হক ও মোহাম্মদ হাতেম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।