বাংলার প্রতিচ্ছবি । ০৩ নভেম্বর ২০২৪ !! ১৮:৪৫
চট্টগ্রামের সিটি মেয়র বিএনপি প্রার্থীর শপথের মধ্য দিয়ে প্রমাণিত হয়েছে ফ্যাসিস্টরা বিগত সময়ে প্রতিটি নির্বাচনের ফলাফল কেড়ে নিয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘আগামী দিনগুলোতে যেন ফ্যাসিস্টরা ফিরে আসতে না পারে,
রবিবার (৩ নভেম্বর) দুপুরে শপথ গ্রহণের পর শাহাদাত হোসেনকে নিয়ে শেরেবাংলা নগরে দলের প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরে ফুলেল শ্রদ্ধা জাানানোর পরে বিএনপি মহাসচিব এই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ শুধু দেশটাকেই ধ্বংস করেনি, ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করতে প্রতিটি নির্বাচনকে তারা তাদের মতো করে সাজিয়েছিল। চট্টগ্রামে সিটি করপোরেশন নির্বাচনে জনপ্রিয় নেতা সাবেক মহানগর আহ্বায়ক শাহাদাত হোসেন প্রতিযোগিতা করে জিতেছিলেন। কিন্তু আওয়ামী লীগের ফ্যাসিস্টরা বলপ্রয়োগে জনগণের ফলাফল কেড়ে নিয়েছিল।’
‘আজকে আমি ধন্যবাদ জানাই নির্বাচন কমিশন ট্রাইব্যুনালকে তারা আগের ফলাফল বাতিল করে ডা. শাহাদাতকে নির্বাচিত ঘোষণা করেছে। সেইসঙ্গে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ধন্যবাদ জানাই তারা আদালতের রায়কে মেনে নিয়ে তাকে (শাহাদাত হোসেন) চট্টগ্রামের মেয়রকে শপথ গ্রহণ করিয়েছেন।’
ফখরুল বলেন, ‘ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে এই ফ্যাসিস্টদেরকে দেশ থেকে বিতাড়িত করা হয়েছে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আগামী দিনগুলোতে যেন ফ্যাসিস্টরা ফিরে আসতে না পারে, জনগণের যে দুর্বার প্রতিরোধ— সেই প্রতিরোধ যেন ফ্যাসিবাদকে নির্মূল করে এবং আগামী দিনের নির্বাচনগুলো যেন অবাধ সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন হয়, আমরা সেই প্রত্যাশা করছি।’
‘আমি দলের দলের পক্ষ থেকে, চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে এবং দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে ডা. শাহাদাতকে অভিনন্দন জানাচ্ছি।’
দুপুর সাড়ে ১২টায় শাহাদাত হোসেনের নেতৃত্বে কয়েকশ নেতা-কর্মীকে নিয়ে বিএনপি মহাসচিব জিয়াউর রহমানের কবরে পূষ্পমাল্য অর্পণ করেন। প্রয়াত নেতার আত্মার মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাতে অংশ নেন তারা। মোনাজাত পরিচালনা করেন মেয়র শাহাদাত নিজেই।
এর আগে সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা হাসান আরিফ ডা. শাহাদাত হোসেনকে মেয়র হিসেবে শপথ বাক্য পাঠ করান।
এ সময়ে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেল, মাহবুবে রহমান শামীমসহ চট্টগ্রামের মহানগর নেতারা।
শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘আজকে যে কথাটা আমি বলতে চাই, চট্টগ্রামকে বাঁচালে বাংলাদেশ বাঁচবে। আমাদের যে ইশতেহার দেশনেত্রী খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানের… সেই ইশতেহারে চট্টগ্রামকে গ্রিন সিটি, ক্লিন সিটি এবং হেলথদি সিটি করার যে চিন্তাভাবনা, তার জন্য আমি কাজ করে যাবো ইনশাল্লাহ।’
‘চট্টগ্রামে আপনারা জানেন জলাবদ্ধতাসহ বিভিন্ন সমস্যা আজকে জর্জরিত। আমি বলতে চাই, চট্টগ্রামের অবকাঠামো আপনারা ডেভেলপ করুন। চট্টগ্রামকে আপনারা বাঁচিয়ে রাখুন। ইনশাল্লাহ, চট্টগ্রাম বাঁচলে বাংলাদেশ বাঁচবে।’
এই বিজয়ের মাধ্যমে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।