বাংলার প্রতিচ্ছবি । ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৫:২৫
ড. মুহম্মদ ইউনূসের মামলা স্থগিত চেয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে লেখা বিশ্বনেতাদের খোলা চিঠিকে সার্বভৌম দেশের স্বাধীন বিচারব্যবস্থার ওপর অযাচিত হস্তক্ষেপ উল্লেখ করে তার প্রতিবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশের গণমাধ্যমের ৫০ সম্পাদক।
শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রতন ও ফারুক আহমেদ তালুকদার স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত ২৮ আগস্ট কয়েকজন নোবেল বিজয়ী, রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী ও সুশীল সমাজের সম্মানিত সদস্য বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেওয়া একটি খোলা চিঠিতে বাংলাদেশের শ্রম আইনে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে চলমান মামলা স্থগিত করার আহ্বান জানিয়েছেন। এটি একটি সার্বভৌম দেশের স্বাধীন বিচারব্যবস্থার ওপর অযাচিত হস্তক্ষেপ।
বাংলাদেশের বিচার বিভাগ সম্পূর্ণরূপে স্বাধীন। এ ধরনের চিঠি প্রদানের মাধ্যমে তারা অনৈতিক, বেআইনি ও অসাংবিধানিকভাবে বাংলাদেশের স্বাধীন বিচারব্যবস্থার ওপর হস্তক্ষেপ করেছেন বলে আমরা মনে করি। এ ধরনের বিবৃতি বা খোলা চিঠি আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) এবং বাংলাদেশের আইনে শ্রমিকদের প্রদত্ত অধিকার সংক্রান্ত বিধানাবলির সম্পূর্ণ পরিপন্থি।
বিবৃতিতে তারা বলেন, আন্তর্জাতিকভাবে সম্মানিত ও নোবেল বিজয়ীদের এ ধরনের বিবৃতি ও চিঠি অনাকাঙ্ক্ষিত ও অনৈতিক। একজন অপরাধ করলে তার বিরুদ্ধে মামলা করা যাবে না এবং বিচার করা যাবে না, এমন দাবি ন্যায়বিচার এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার পরিপন্থি। আমরা মনে করি তারা মামলা সম্পর্কে পুরোপুরি না জেনে এমন দাবি করেছেন। তাই আমরা তাদের অথবা তাদের প্রতিনিধি এসে মামলায় ড. ইউনূসকে আদৌ হয়রানি করা হচ্ছে কি না, তা তারা পর্যবেক্ষণ করতে পারেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের এই আহ্বান জানিয়েছেন, আমরা তা সমর্থন করি উল্লেখ করে তারা বলেন, একই চিঠিতে বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয়ে যে ধরনের মন্তব্য করা হয়েছে, তা স্বাধীন-সার্বভৌম একটি রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে সরাসরি হস্তক্ষেপের শামিল। মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসেবে বাংলাদেশের জনগণ যেকোনও মহলের এ ধরনের অবমাননাকর, অযাচিত ও বেআইনি হস্তক্ষেপ কোনোভাবেই মেনে নেবে না। আমরা সংশ্লিষ্ট সবাইকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, স্বাধীন বিচারব্যবস্থা ও শ্রমিকদের অধিকারের বিষয়ে সম্মান প্রদর্শনের জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।
বিবৃতিদাতা সম্পাদকরা হলেন ইকবাল সোবাহান চৌধুরী, গোলাম রহমান, তাসমিমা হোসেন, আবুল কালাম আজাদ, ইমদাদুল হক মিলন, আলমগীর হোসেন, সাইফুল আলম, নঈম নিজাম, ফরিদ হোসেন, শ্যামল দত্ত, নাঈমুল ইসলাম খান, আলতামাশ কবির, আজিজুল ইসলাম ভূঁইয়া, রেজাউল করিম লোটাস, শাহজাহান সরদার, নাসিমা খান মন্টি, রফিকুল ইসলাম রতন, ফারুক আহমেদ তালুকদার, সন্তোষ শর্মা, শরীফ শাহাবুদ্দিন, শামীমা এ খান, কমলেশ রায়, মুস্তাফিজ শফি, মোস্তফা মামুন, বেলায়েত হোসেন, চৌধুরী জাফরউল্লাহ শারাফাত, শামীম সিদ্দিকী, আব্দুল মজিদ, রিমন মাহফুজ, মফিজুর রহমান খান বাবু, আরিফুর রহমান দোলন, নুর হাকিম, মো. জসিম, আখলাকুল আম্বিয়া, এস এম নূরে আলম সিদ্দিকী, ফরিদ বাঙ্গালী, ড. আসাদুজ্জামান, কিশোর আদিত্য, দীপক আচার্য্য, আবু সাঈদ, আতিকুর রহমান চৌধুরী, রফিকুল ইসলাম, মো. সেলিম,হিল্লোল বাউলিয়া, মোস্তফা হোসেন চৌধুরী, নাজমুল হক সরকার, শাহাদাত হোসেন শাহীন, মো. সাইদুল ইসলাম, নাজমুল আলম তৌফিক, হেমায়েত হোসেন ও শেখ জামাল।