বাংলার প্রতিচ্ছবি । ৩১ আগষ্ট ২০২৪ !! ১৬:১০
ফ্যাসিবাদ পতনের পর কোনও দাবি দাওয়ার জন্য রাজপথে নামতে হবে না। তবে দুঃখের বিষয় হচ্ছে— সাগর রুনি হত্যাকাণ্ডের বিচার চাইতে আমাদের রাজপথে নামতে হচ্ছে। সাগর-রুনির হত্যার বিচার চাইতে হবে কেন? এটা নিয়ে এত টালবাহানা কেন। কেন আপনারা একটি তদন্ত কমিটি গঠন করলেন না। কেন কোনও পুলিশের ইনকোয়ারি করেন নাই, তা আমার কাছে বোধগম্য নয়। অবিলম্বে সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের বিচার করতে হবে।
শনিবার (৩১ আগষ্ট) জাতীয় প্রেসক্লাবের চত্বরে সাগর-রুনিসহ সবসাংবাদিক হত্যার বিচার ও সাংবাদিক সুরক্ষা আইন প্রণয়নের দাবিতে আয়োজিত এক সমাবেশে এসব কথা বলেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সভাপতি রুহুল আমিন গাজী।
সমাবেশটির আয়োজন করে বিএনপিপন্থি সাংবাদিক সংগঠন ফেডারেশন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও বিএনপিপন্থি সাংবাদিক ইউনিয়ন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে)।
সমাবেশে সদ্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ করে বিএফইউজে’র সভাপতি বলেন, ষড়যন্ত্র করে গণতন্ত্রকে নস্যাৎ করতে পারবেন না। ছাত্র জনতার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে যে নতুন বাংলাদেশ গঠিত হয়েছে, সে বাংলাদেশকে কলুষিত করার ক্ষমতা আপনার নেই। সুতরাং, সব ষড়যন্ত্র থেকে বেরিয়ে আসুন। সোজা পথে চলেন, আমরা আপনাদের সঙ্গে নিয়ে চলতে চাই। যদি সোজা পথে না চলেন, তাহলে দায়-দায়িত্ব আপনাদেরকে বহন করতে হবে, আমরা করবো না।
সমাবেশে বিএফইউজে’র মহাসচিব কাদের গণি চৌধুরী বলেন, সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনির হত্যার ১২ বছর হয়ে গেছে। কিন্তু আমরা কোনও বিচার পাইনি। যেহেতু ফ্যাসিবাদ মুক্ত হয়েছে, তাই বর্তমান সরকারকে বলতে চাই— অবিলম্বে সাগর রুনি হত্যাকাণ্ডের বিচার করতে হবে। আমরা যেমন সাংবাদিক সুরক্ষা আইন চাই, ঠিক একইভাবে আর কোনও রাজনৈতিক দলের কর্মসূচিতে যেন কোনও সাংবাদিক আহত না হয় সেটাও চাই।
সমাবেশে বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) প্রধান প্রতিবেদক মোরসালিন নোমানি বলেন, আমি তিনটি বিষয়ে কথা বলতে চাই। প্রথমটি হচ্ছে, সাগর রুনির হত্যাকাণ্ড। এই হত্যাকাণ্ডের ১২ বছরের বেশি সময় পার হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের সময় বলা হয়েছিল, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে খুনিদের ধরা হবে। কিন্তু এত দনেও তা ধরা হয়নি। আমার দাবি হচ্ছে, সাগর-রুনির হত্যার সময় তৎকালীন যনি পুলিশ প্রধান ছিলেন, তাকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হোক। দ্বিতীয়টি হচ্ছে, স্বৈরাচার সরকারের পতনের সময় যে চার জন সাংবাদিক নিহত হয়েছেন, তাদের পরিবারের দায়িত্ব সরকারকে নিতে হবে। আর তৃতীয়টি হচ্ছে, ১৬ বছর ফ্যাসিস্ট সরকার ক্ষমতার সময়ে যে সব সাংবাদিক ‘তেল’ দেওয়ার কাজ করেছিল, তাদের চিহ্নিত করতে হবে। যাতে করে আর তারা কোনও সংবাদ সম্মেলন না করতে পারে।
এসময় আরও বক্তব্য রাখেন— ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সাংগঠনিক সম্পাদক সাইদ খান, ডিইউজে কোষাধ্যক্ষ খন্দকার আলমগীর হোসেন, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সাংগঠনিক সম্পাদক এরফানুল হক নাহিদ, বিএফইউজে সিনিয়র সহকারী মহাসচিব বাসির জামান, রংপুর সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি সালেক খান, সাংবাদিক নেতা শাহিন হাসনাত, চট্রগ্রাম মেট্রপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শাহনেওয়াজ, বিএফইউজে সাবেক সহসভাপতি জাহিদুল করিম কচি, বিএফইউজে’র সহসভাপতি খায়রুল বাশার, ডিইউজের সাধারণ সম্পাদক খুরশিদ আলম, সাংবাদিক নেতা ও বিএনপি চেয়াপারসনের উপদেষ্টা কবি আবদুল হাই সরকার প্রমুখ।