Thursday, November 21, 2024
Google search engine
বাড়িদেশগ্রামীণ ব্যাংকের সবাইকে স্যার বলতে হবে: সেকেন্ড ম্যানেজার

গ্রামীণ ব্যাংকের সবাইকে স্যার বলতে হবে: সেকেন্ড ম্যানেজার

গ্রামীণ ব্যাংকের ম্যানেজারকে ভাই ডাকায় এক গ্রাহকের সাথে অসদাচরণ ও ব্যাংক থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার ঝিটকা শাখার সেকেন্ড ম্যানেজার আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে। এছাড়া ওই সেকেন্ড ম্যানেজার ভুক্তভোগীর ফোনও কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছেন বলে দাবি ভুক্তভোগীর।

ভুক্তভোগী উপজেলার ঝিটকা এলাকার মিষ্টি ব্যবসায়ী সমর সন্ন্যাসীর ছেলে সুব্রত সন্ন্যাসীর নিজের করা একটি ভিডিও থেকে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।

বৃহষ্পতিবার (৭ নভেম্বর) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও ভাইরাল হলে এলাকায় ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়। এর আগে বুধবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে গ্রামীণ ব্যাংকের হরিরামপুর উপজেলার ঝিটকা শাখার ভেতরে এ ঘটনা ঘটে।

বিরামপুরে একই পরিবারে ১২ জন বাক প্রতিবন্ধী: চান সরকারি সহযোগিতাবিরামপুরে একই পরিবারে ১২ জন বাক প্রতিবন্ধী: চান সরকারি সহযোগিতা
ভুক্তভোগীর করা ওই ভিডিও তে দেখা যায়, আলাপচারিতার একপর্যায়ে ভুক্তভোগী গ্রাহক সেকেন্ড ম্যানেজার আবুল কালাম আজাদকে বলছে, সম্মান দিয়ে ভাই বলা কি অপরাধ? এখন আপনাদের ভাই বলা যাবে না? স্যারই বলতে হবে? প্রতি উত্তরে আবুল কালাম আজাদ বলছেন, ভাই বলা যাবে না, স্যার বলবেন। ম্যানেজার আরও বলেন, আপনি ভদ্রতা দেখান। গ্রামীণ ব্যাংকের সবাইকেই স্যার বলতে হবে। ভুক্তভোগীর প্রশ্ন কেন? প্রতি উত্তরে ম্যানেজার আবার বলেন, বলতে হবে। এটাই নিয়ম। এটা সবাই বলে। পরে গ্রাহক পাল্টা প্রশ্ন করলে, তিনি বলেন আপনি এতো তর্ক করেন কেন। আপনার কোন সম্পর্কের ভাই উনি (ম্যানেজার)। পরে ভুক্তভোগীর দিকে আবুল কালাম আঙ্গুল তুলে কথাবার্তা সাবধানে বলার হুমকি দেন। পরে গ্রাহক আঙ্গুল নামাতে বললে, আবুল কালাম আজাদ গ্রাহককে মারতে উদ্যত হয়ে ধাক্কা দিয়ে ব্যাংক থেকে বের করে দেন ও মোবাইল কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন।

রাতের আধাঁরে কাটা হচ্ছে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ডিভাইডাররাতের আধাঁরে কাটা হচ্ছে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ডিভাইডার
ভুক্তভোগী সুব্রত সন্ন্যাসী বলেন, বুধবার দুপুরে টাকা তুলতে একটা চেক নিয়ে আমি ব্যাংকে যাই। পরে তারা আমাকে কিছুক্ষণ বসিয়ে রেখে বলেন আগামীকাল আসার জন্য। তখন আমি, ম্যানেজারকে বলি কালকে কখন আসবো? এটা বলার পরেই সেকেন্ড ম্যানেজার আবুল কালাম আজাদ আমার প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন এবং আমাকে ভাই বাদ দিয়ে স্যার বলে সম্বোধন করতে বলেন। তখন আমি তাকে কয়েকটা প্রশ্ন করলে সে আমার দিকে আঙ্গুল তুলে মারতে উদ্যত হয়ে ব্যাংক থেকে বের করে দেন। সাথে আমার মোবাইলও কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। এরপর আমি পুরো ঘটনাটি ম্যানেজারকে জানালেও তিনি ওই সেকেন্ড ম্যানেজরের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত সেকেন্ড ম্যানেজার আবুল কালাম আজাদ বলেন, উনি স্যার বললে অসুবিধা টা কোথায়। এই টুকু কথা সহজভাবে নিলেই হয়। এ ছোট বিষয় নিয়ে যদি কেউ তিলকে তাল করে তাহলে আমার কিছু করার নেই।

নেপালের ভয়ঙ্কর সড়কে তিন বাংলাদেশির গল্পনেপালের ভয়ঙ্কর সড়কে তিন বাংলাদেশির গল্প
ঝিটকা শাখার ম্যানেজার অদ্বৈত কুমার মৃধা বলেন, ভাই বলার কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। তবে প্রত্যেকটা অফিসের একটা প্রটোকল অনুযায়ী সবাই ওটা মেইনটেইন করে। আর তাদের দুজনের সাথে আগের কোনো ঘটনার জেরে হয়তো এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাটি ঘটে থাকতে পারে। এটি নিয়ে আমি সেকেন্ড ম্যানেজারের সাথে কথা বলেছি। এ বিষয়ে তিনি আমার কাছে অনুতপ্ত প্রকাশ করেছেন।

RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments