বাংলার প্রতিচ্ছবি । ২৮ নভেম্বর ২০২৪ !! ১২:১১
গাজীপুরের টঙ্গীর এরশাদনগর এলাকায় অ্যাপার্টমেন্টের মাটি ফেলাকে কেন্দ্র করে বিএনপি নেতা টিভি আনোয়ার ও যুবদল নেতা কামরুল ইসলাম কামু গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় ঘটে। এ ঘটনায় বুধবার (২৭ নভেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ১১টায় যৌথ বাহিনী এরশাদ নগর এলাকা ঘিরে ফেলে অভিযান চালায়। অভিযানে এজাহারভুক্ত ৬ জনের মধ্যে দুজনকে গ্রেফতার করে যৌথ বাহিনী।
গ্রেফতাররা হলেন এজাহারভুক্ত ৩ নম্বর আসামি বিপ্লব (৩২) ও অপর আসামি সজীব হোসেন (২৬)। তাদেরকে টঙ্গী পূর্ব থানায় হস্তান্তর করেছে যৌথ বাহিনী।
মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) রাতের সংঘর্ষে টঙ্গীর এরশাদনগর এলাকার এক নম্বর ব্লকের হানিফ মিয়ার ছেলে হৃদয়কে (২৯) কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে টঙ্গীর শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। গুরুতর আহত হওয়ায় ওই দিন রাতেই তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়। আহতদের বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। তাদের পরিচয় পাওয়া যায়নি। ওই দিন গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) দক্ষিণ বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
টঙ্গী পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কায়সার আহমেদ স্থানীয়দের বরাত দিয়ে জানান, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে পুরনো বিরোধের জেরেই টঙ্গীর এরশাদনগর এলাকার আনোয়ার গ্রুপ ও কামরুল ইসলাম ওরফে কামু গ্রুপের দীর্ঘদিন যাবৎ বিরোধ চলছিল। মঙ্গলবার রাতের সংঘর্ষে উভয়পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে কয়েক দফা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় আনোয়ার গ্রুপের সমর্থকরা কামরুল ইসলাম কামু গ্রুপের সমর্থক হৃদয়কে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। সংঘর্ষে উভয়পক্ষের কয়েকজন আহত হয়। এ ঘটনায় বুধবার রাতে যৌথ বাহিনী এরশাদনগর এলাকা ঘেরাও করে অভিযান চালিয়ে দুজনকে গ্রেফতার করে।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার রাত সোয়া ১০টায় টঙ্গীর এরশাদনগরের চানকিরটেক এলাকায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়। দুই পক্ষের সংঘর্ষে গুলি, দেশীয় অস্ত্র ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে লিপু, মইজুদ্দিন ও মঞ্জুর নেতৃত্বে ১০-১৩ রাউন্ড গুলি চালানো হয়। টঙ্গী পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কায়সার আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।