বাংলার প্রতিচ্ছবি । ১৯ অক্টোবর ২০২৪ !! ১২:২৮
গাজার সবচেয়ে বড় শরণার্থী শিবির জাবালিয়াতে শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৩৩ জন নিহত এবং ৮৫ জন আহত হয়েছেন। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেছেন যে, ইসরায়েলি বাহিনীর সাঁজোয়া যান (ট্যাংক) রাস্তা ও ঘরবাড়ি ধ্বংস করে দিয়েছে। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
হামাস পরিচালিত গাজার সরকারি গণমাধ্যমের কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, এই হামলায় মৃতের সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে পারে। কারণ ধ্বংসস্তূপের নিচে অনেকে আটকা পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আর ফিলিস্তিনি বার্তাসংস্থা ওয়াফা বলেছে যে, নিহতদের মধ্যে শিশুও রয়েছে।
তাৎক্ষণিকভাবে হামলার বিষয়ে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
এদিকে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, শুক্রবার গাজা জুড়ে অন্যান্য ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৩৯ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ২০ জনই জাবালিয়াতে মারা গেছেন।
জাবালিয়ার বাসিন্দারা জানিয়েছেন, শহরতলি ও আবাসিক এলাকার মধ্য দিয়ে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে ইসরায়েলি সাঁজোয়া যান শিবিরের কেন্দ্রে পৌঁছায়। স্থল ও বিমান হামলা ও দূর নিয়ন্ত্রিত বোমা বিস্ফোরণ করে নিয়মিতই কয়েক ডজন ঘরবাড়ি ধুলায় মিশিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছেন তারা।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়, দুই সপ্তাহ ধরে জাবালিয়াতে অভিযান পরিচালনা করছে তারা। বৃহস্পতিবার সম্মুখযুদ্ধে কয়েক ডজন ‘জঙ্গি’ হত্যা করেছে বলে তারা দাবি করে। এছাড়া বিমান হামলা চালিয়ে একাধিক ‘সামরিক অবকাঠামো’ ভেঙে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে তারা।
হামাস যোদ্ধাদের পুনরায় সংগঠিত হওয়ার সক্ষমতা হ্রাস করতে জাবালিয়াতে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে বলে দাবি করেছে ইসরায়েল।
স্থানীয়রা বলেছেন যে, উত্তরাঞ্চলীয় গাজার বেইত হানুন, জাবালিয়া ও বেইত লাহিয়াকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। মানুষকে উল্লিখিত এলাকা ছেড়ে যাওয়ার জন্য আদেশ দিয়েছে সেনাবাহিনী। যারা নির্দেশনা অনুযায়ী সরে যাচ্ছে, কেবল তারা বাদে সবাইকে চলাচলে বাঁধা দেওয়া হচ্ছে।
এছাড়া, যোগাযোগ ও ইন্টারনেট পরিষেবা বিচ্ছিন্ন করেছে ইসরায়েল। ফলে উদ্ধারকাজ ব্যাহত হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা।