বাংলার প্রতিচ্ছবি । ১১ আগষ্ট ২০২৪ !! ২১:৩৯
অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় খালাস পেয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৪ জন। রবিবার (১১ আগস্ট) শুনানি শেষে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক রবিউল আলমের আদালত এই আদেশ দেন। দুদকের কোর্ট ইন্সপেক্টর আমির হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
খালাস পাওয়া অপর আসামিরা হলেন– গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নাজমুল ইসলাম, পরিচালক ও সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক পারভীন মাহমুদ, নাজনীন সুলতানা, মো. শাহজাহান, নূরজাহান বেগম ও পরিচালক এস. এম হাজ্জাতুল ইসলাম লতিফী, অ্যাডভোকেট মো. ইউসুফ আলী, অ্যাডভোকেট জাফরুল হাসান শরীফ, গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মো. কামরুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ মাহমুদ হাসান ও প্রতিনিধি মো. মাইনুল ইসলাম, দফতর সম্পাদক কামরুল ইসলাম।
এদিন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর আসামিদের বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহার করে তাদের মামলার দায় থেকে খালাস দেওয়ার আবেদন করেন। আবেদনের পর বিচারক তাদের খালাসের আদেশ দেন।
গত ১২ জুন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক সৈয়দ আরাফাত হোসেনের আদালত ড. ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন। গত ১ ফেব্রুয়ারি এই মামলায় ড. ইউনূসসহ
১৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান। দণ্ডবিধি ও মানিলন্ডারিং আইনে ২৫ কোটি ২২ লাখ ৬ হাজার ৭৮০ টাকা আত্মসাতের উদ্দেশ্যে স্থানান্তর ও হস্তান্তরের অভিযোগে গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে এ অভিযোগপত্র দেওয়া হয়।
গত বছরের ৩০ মে দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১-এ সংস্থার উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
এর আগে শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ৬ মাসের সাজা বাতিল করেন শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল। গত ৭ আগস্ট শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম এ আউয়াল এই আদেশ দেন।